মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ এশিয়া উপমহাদেশের বিখ্যাত দরবার । এই দরবারের প্রতিষ্ঠাতা প্রাণ পুরুষ গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী হযরত মওলানা শাহ ছুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক। তিনি জনসমাজে মাইজভাণ্ডারী ত্বরীকা প্রবর্তন করেন। শাহসূফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক.) ১১২তম বার্ষিক ওরশ শরীফ ১০ মাঘ, ২৩ জানুয়ারি। আজ রবিবার থেকে ওরশ শরীফ উপলক্ষে ৩ দিনের বিশেষ কর্মসূচি শুরু হবে। আগামীকাল সোমবার সকালে কোরআন খতম, মাজারে গোসল শরীফ ও রওজা শরীফে গিলাফ চড়ানোর মাধ্যমে ওরশ শরীফের মূল আনুষ্ঠানিকতার শুরু হবে। এ উপলক্ষে মাইজভান্ডার দরবার শরীফের গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীনগণ, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর সমন্বয়ে প্রশাসনিক এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় থানা পুলিশ–র্যাব–আনসার ও সহস্রাধিক বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া ওরশ শরীফ সুপার ভিশন কমিটির উদ্যোগে ক্লোজ–সার্কিট ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারণের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারী করা হবে।
সাজ্জাদানশীনে দরবারে গাউছুল আজম আলহাজ্ব হযরত মওলানা শাহ সুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম:জি:আ এর আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় এবং নায়েব সাজ্জাদানশীন ও মোন্তাজেমে দরবার আলহাজ্ব সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রতি বারের মত এবারও এই ওরশ শরীফ গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছর বাংলা ৮, ৯, ১০ মাঘ, ইংরেজী ২১, ২২, ২৩ জানুয়ারি পবিত্র ওরশ শরীফ পালন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে খতমে কোরআন, খতমে গাউছিয়া, নাতে মোস্তফা পরিবেশন, শানে গাউছিয়া পরিবেশন, মিলাদ মাহফিল, প্রতি জায়েরীন ক্যাম্পে জামাতে নামাজ আদায়, জিকির, ছেমা মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত। প্রতি বছর মানব জাতির এই মহান মিলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চল ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সৌদি আরব, কাতার, ওমানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অংশ গ্রহন করে। এছাড়া ওরশ শরীফ সুপার ভিশন কমিটির উদ্যোগে ক্লোজ–সার্কিট ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারণের মাধ্যমে সার্ব নিক নজরধারী করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনীয় গাড়ি পার্কিং সহ মেহমানদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে থাকা, সময় মত জামাত সহকারে নামাজ আদায় করা, বিশুদ্ধ পানীয় জল, স্বাস্থ্য সম্মত সেনিটেশন, আলোক সজ্জা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যবস্থা করা হয়। এই ওরশ শরীফ উপলক্ষে মাইজভাণ্ডার আশপাশ এলাকায় গ্রাম্য মেলা বসে।
উক্ত ওরশ শরীফকে ঘিরে গত দুই মাস ধরে আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারী (শাহ এমদাদীয়া) এর যাবতীয় সংগঠন ওরশ শরীফের অংশ হিসাবে সাংগঠনিকভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পালন করে আসছে। কার্যক্রম সমূহের মধ্যে গরীব দুস্তদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ, ফ্রি খৎতা ও চিকিৎসা ক্যাম্প, রক্ত দান, ব্লাড গ্রুপিং, বৃক্ষ রোপন ও বিতরণ, গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী মেধা বৃত্তি ও মেধা বিকাশ কার্যক্রম, বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার, ফেস্টুন, তোরণ, লিফলেট ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয়। শেষ দিবসে ২৩ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটে গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিল শাহী ময়দানে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন সাজ্জাদানশীনে দরবারে গাউছুল আজম আলহাজ্ব হযরত মওলানা শাহ সুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম:জি:আ। ওরশ শরীফ উপলক্ষে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রপত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।