বহিস্কৃত ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মদ্যপ দুই কর্মীকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে । এর আগে মদ খেয়ে ছাত্রীদের হয়রানির অভিযোগে তিন জনকে আটক করেন প্রক্টর। আজ রোববার বিকালে এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাড়ে ৪টার দিকে ক্যাম্পাসের মফিজ লেকে মদ খেয়ে মাতলামি করছিল বহিরাগত মুহাইমিনুল ইসলাম লামন, ছাত্রলীগ কর্মী ইমতিয়াজ (রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ১৫-১৬) ও ইউসুফ (ইংরেজি, ১৫-১৬)। এসময় লেকে বেড়াতে যাওয়া তিন ছাত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে উত্যক্ত ও হেনস্তা করে তারা। তাৎক্ষনিক ছাত্রীরা প্রক্টর ড. মাহবুবকে বিষয়টি জানায়।

তিনি এসে হাতেনাতে ইমতিয়াজ ও ইউসুফকে আটক করেন। এসময় বহিরাগত লামন দৌঁড়ে পালিয়ে যেতে চাইলে তাকেও আটক করা হয়। মদ্যপ ওই ছাত্রলীগ কর্মীদের খালেদা জিয়া হলের সামনে এনে পুলিশের হাতে তুলে দেন প্রক্টর। এসময় মন্দির ভাংচুরের দায়ে বহিস্কৃত ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত তার কর্মীদের নিয়ে এসে ইমতিয়াজ ও ইউসুফকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়। পরে মুহাইমিনুল ইসলাম লামনকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। আটককৃত লামনের বিরুদ্ধে এর আগেও মাদক সেবন ও সরবরাহ করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার পর ওই ছাত্রীরা প্রক্টরকে আকুতি করে বলেন, ‘স্যার আমাদের বাচাঁন। আমাদের সাথে যা হয়েছে তার বিচার চাই।’ তবে অভিযুক্তদের ছিনিয়ে নেবার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছে ছাত্রীরা। তারা বলেন, ‘এখন আর কিছুই হবে না।’
এ ব্যাপারে আরাফাত বলেন, ‘পুলিশের সাথে একটু মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়েছিল। আমার অনুসারী ইউসুফ আর ইমতিয়াজকে আটক করেছে শুনে ওখানে গিয়েছিলাম। বহিরাগত লামনকে থানায় দিয়ে আমার কর্মীদের নিয়ে এসেছি।
ইবি থানার এস. আই কমলেশ দাশ বলেন, ‘আটকৃতদের নিয়ে যাবার সময় কয়েকজন এসে দুজনকে ছিনিয়ে নেয়। আমি একা তাদের সামলাতে পারিনি।’
প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন জিরো টলারেন্স জারি করেছে। যাদের আটক করা হয়েছিল তারা যাত বড় শক্তিই হোক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031