সদ্য দায়িত্ব নেয়া পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু অকাল বন্যায় ফসলহানির কারণ জানতে সরেজমিনে সুনামগঞ্জের হাওর পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি বলেছেন, আমি কাজটি মন্ত্রণালয়ে বসেও করতে পারতাম। এখানে এসে দেখে গেলাম যে সমস্যাটা কী, কেন ফসল নষ্ট হয়, পানি কোথা থেকে আসে।
শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ পরির্দশন করেন মন্ত্রী।
পানিসম্পদ মন্ত্রী জানিয়েছেন, গত বছর হাওরের ফসল বাঁধের কারণে তলিয়ে গেছে। আর যেন বাঁধ ভেঙে কৃষকের ফসল তলিয়ে না যায় সে জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন তিন মাস সুনামগঞ্জে অবস্থান করবে। বাঁধ নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে করার জন্য জনবল বাড়ানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আগাম বন্যা ও ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দ্রুতগতিতে সবাইকে জানাতে হবে। এ সময় ভৈরবের কাছে ভরাট হওয়া নদীতে ড্রেজারে খননের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের মৌখিক নির্দেশ দেন মন্ত্রী। যেসব জায়গায় নদী খননের দরকার সেসব জায়গায় জরুরি ভিত্তিতে নদী খনন করার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, বর্ষাকালে হাওরে যে পানি আসে তা থেকে সৃষ্ট বন্যায় ফসল নষ্ট হয়। গত বছর বাঁধের কাজে পুকুরচুরি করায় বাঁধ ভেঙে গিয়ে হাওরের ফসল তলিয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়ে এই এলাকার কৃষক।
এখানে পানি নিষ্ককাশনের জন্য খাল কাটা শুরু হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
পানিসম্পদ মন্ত্রী শনিবার স্পিডবোটে জামালগঞ্জ উপজেলার পাগনার হাওরের জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মুচি বাড়ির খাল, হালির হাওরের লক্ষ্মীপুর ক্লোজার পরিদর্শন করেন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, অতিরিক্ত সচিব মো. ইউসুফ, বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ আসনের সাংসদ এহিয়া চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এমরান হোসেন, পুলিশ সুপার বরকততুল্লা খান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক এম আনোয়ার হোসেন, জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক ভুঁইয়া, উপজেলা শাখা কর্মকর্তা নিহার রঞ্জন দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, ইউপি চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু তালুকদার, রজব আলী, অসিম তালুকদার প্রমূখ।