স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বিশ্ব তাবলিগ জামাতের আমির হিসেবে ঘোষণাকারী মাওলানা সাদ কান্ধলভির ইজতেমায় যোগ না দেয়ার কোনো প্রভাব নেই বলে দাবি করেছেন ।

দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরুর প্রথম দিন শুক্রবার টঙ্গীর তুরাগ তীরে ময়দান সংলগ্ন পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

২০১৪ থেকে ২০১৭ সালে ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনাকারী মাওলানা সাদ এবার ঢাকায় আসলেও তাবলিগ অনুসারীদের একাংশের বিরোধিতায় ময়দানে না গিয়েই ফিরে গেছেন দিল্লিতে।

ভারতের মাওলানা সাদকে নিয়ে বাংলাদেশে তাবলিগপন্থীদের মধ্য বিভক্তির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের নিজামুদ্দিন মারকাজের সদস্যদের মধ্যে মতভেদ আছে। তারই একটি ধারবাহিকতা বাংলাদেশে এসেছে। এ মতভেদ যাতে মিটে যায় এবং ইজতেমা যাতে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় সরকারের সে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে প্রথম পর্বে ইজতেমা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়েছে।  এছাড়া দ্বিতীয় পর্বেও ইজতেমা সফলভাবে সম্পন্ন হবে।’

গত ১২ জানুয়ারি ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরুর দুই দিন আগে মাওলানা সাদ ঢাকায় আসেন। কিন্তু তার ঢাকায় আসা ঠেকাতে বিক্ষোভে নামে তাবলিগ জামাতের একটি অংশ।

তারা বিমানবন্দর সড়ক দিনভর অবরোধ করে রেখে নজিরবিহীন ভোগান্তি তৈরি করে।

এর মধ্যে মাওলানা সাদ বিশেষ ব্যবস্থায় কাকরাইল মসজিদে চলে আসেন। কিন্তু পরদিনও তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে থাকেন বিরোধীরা। আর সেই দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মাওলানা সাদ ফিরে যাবেন দিল্লিতে।

বাংলাদেশে মাওলানা সাদের অনুসারীও কম না। আর তার ইজতেমায় অংশ নিতে বাধা দেয়ায় বিদেশি অনুসারীদের অনেকেই ময়দান ছেড়ে চলে যান বলে গণমাধ্যমে সংবাদ এসেছে।

এর মধ্যে গত রবিবার প্রথম পর্ব শেষে আজ শুরু হয়েছে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। মাওলানা সাদ ইস্যু নিয়ে বিতর্ক এখনও চলছে ময়দানে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাওলানা সাদ যোগ দিতে না পারায় ইজতেমা থেকে বিদেশিরা চলে গেছে এ ধরনের কোন তথ্য সরকারের কাছে নেই। যারা এসেছিলেন তারা প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে চিল্লায় গেছেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম পর্বে পৃথিবীর বহু দেশ থেকে চার হাজারের অধিক বিদেশি মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নিয়েছিলেন। এ পর্বেও অনেক বিদেশি মুসল্লি ইতোমধ্যে ময়দানে এসে পৌঁছেছেন এবং আসছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও মুসল্লিরা ইজতেমায় এসেছেন।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, ‘ইজতেমায় নিরাপত্তার বিষয়টি সরকার নিশ্চিত করেছে। গোয়েন্দা নজরদারিসহ সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে।’

‘এছাড়াও, সরকারের পক্ষ থেকে মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা, পয়ঃনিষ্কাশনসহ বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক ব্যবস্থা প্রথম পর্বের মতোই চলমান আছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় সাংসদ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।’

স্থানীয় সাংসদ জাহিদ আহসান রাসেল, পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, পুলিশের অতিরিক্ত আইজি জাবেদ পাটোয়ারী, গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশিদ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031