নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এখন থেকে হিজড়া (তৃতীয় লিঙ্গ) পরিচয়েও ভোটার হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ।
বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, যেহেতু সরকার হিজড়া জনগোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা তাদের ভোটার করার জন্য কমিশনে উপস্থাপন করলে হিজড়া হিসেবে ভোটার হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য যুগ্ম সচিবকে (আইন) নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত আইন ও বিধি সংশোধন করে কমিশন সভায় উপস্থাপন করবে কমিটি। পরে কমিশন নীতিমালা ও সফটওয়ারে যে পরিবর্তন করা প্রয়োজন তা করা হবে।
ইসি সূত্র জানায়, সরকারের পক্ষ থেকে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দেয়া হলেও ভোটার তালিকা আইন ও বিধিমালায় বিষয়টি না থাকায় এতদিন এটি করা যায়নি। তাই কমিশন ভোটার তালিকা আইন-২০০৯ ও ভোটার তালিকা বিধিমালা-২০১২ সংশোধন করার উদ্যোগ নিচ্ছে।
এর আগে ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর মন্ত্রিসভায় হিজড়াদের স্বীকৃতি বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। পরের বছর ২৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. মুখলেছুর রহমান খান স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সরকার বাংলাদেশের হিজড়া জনগোষ্ঠীকে হিজড়া লিঙ্গ (hijra) হিসেবে চিহ্নিত করিয়া স্বীকৃতি প্রদান করিল।’
ইসি সূত্র জানায়, এর আগে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৪ সালে ভোটার তালিকা নিবন্ধনের খসড়া ফরমে হিজড়া লিঙ্গটি যোগ করেছিল। কিন্তু ভোটার তালিকা আইন ও বিধিমালা সংশোধন না হওয়ায় সেটি শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। এখন পর্যন্ত হিজড়ারা কেউ ভোটার হতে চাইলে তাকে নারী বা পুরুষ লিঙ্গ বেছে নিতে হয়।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার হিজড়া রয়েছে।