তাতে কি!দলীয় অনুমোদন মেলেনি। স্কুল থেকে ছাত্রলীগ করতে বাধা কোথায়। গত কয়েকবছর ধরে চলছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে ছাত্রলীগের রাজনীতি। যার প্রথম বলি নগরীর কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র আদনান ইসফার (১৫)।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর জামালখান আইডিয়াল স্কুলের সামনে ছাত্রলীগের অপরপক্ষের ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে খুন হন আদনান ইসফার। আদনান চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
অনুমোদন না থাকায় কমিটির কোনো পদের পরিচিতি নেই তার। তবে সে ওই স্কুলের বড় নেতা।
তার রয়েছে একঝাঁক সহপাঠি ছাত্রলীগ কর্মী। যাদের মধ্যে রয়েছে সাকিব, নাজিম, জুনায়েদ, রাফিন ইকবাল, রাসেলসহ অনেকে। এদের কয়েকজন মঙ্গলবার বিকেলে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত আদনান ইসফারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানান হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম।
জহিরুল ইসলাম জানান, আদনান ইসফারকে পেটে ও পিটে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তাকে জরুরি বিভাগে ভর্তির পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। আদনান ইসফার খাগড়াছড়ি জেলায় স্থানীয় সরকার বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী আখতারুল আজমের বড় ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ি উপজেলার শাহনগর এলাকায়। নগরীর জামালখান চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের পেছনে পশ্চিম গলির আম্বিয়া ভবনের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে মা ও একমাত্র বোনের সঙ্গে থাকত আদনান।
খবর পেয়ে রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন বাবা আখতারুল আজম। তিনি বলেন, ছেলেকে পড়ালেখার জন্য ভর্তি করিয়েছি নগরীর সর্বোচ্চ বিদ্যাপীট কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ে। সে মেধাবী ছাত্র। এবারের জেএসসি পরীক্ষায় সে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ভেতরে ভেতরে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে পড়েছে তা আমার জানা ছিল না।
তিনি বলেন, আদনানকে নিয়ে আমার কত স্বপ্ন ছিল। সে লেখাপড়া করে বড় হবে। পরিবারের হাল ধরবে। সুনাম কুড়াবে। কিন্তু ছাত্রলীগ আমার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। কলেজ-বিশ^বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ করে শত শত মায়ের বুক খালি হয়েছে। কিন্তু স্কুলেও যে এই বীজ ঢুকে গেছে তা আমার ধারণার বাইরে।