সরকার আর কত বাড়াবে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের দেয়ার মতো আর কিছুই নেই জানিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন। আগে ছিল প্রাইভেট সেটাকে সরকারি করা হলো। সরকারিকরণের পর বেতন বাড়াতে হবে সেটাও বাড়ানো হলো। এক রাতের মধ্যে ডাবল বেতন বাড়ানো হলো আর কত দেবে। আমার জানামতে শিক্ষকদের দেয়ার মতো আর কিছুই নেই।’
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভাশেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় ১৪ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
গত ১ জানুয়ারি থেকে জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন ইবতেদায়ি শিক্ষকরা। এক পর্যায়ে তারা আমরণ অনশন শুরু করেন। প্রায় এক সপ্তাহ অনশন পালনের পর মঙ্গলবার কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর হোসেনের আশ্বাসে অনশন ভেঙেছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকরা।
এর আগে এমপিওভুক্তির দাবিতে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশন পালিত হয়। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে তারা অনশন প্রত্যাহার করেন।
সরকার এত প্রকল্প নিচ্ছে কিন্তু শিক্ষকরা কেন রাস্তা এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকদের কী দেয়া হয়নি? আমি কারও বিরুদ্ধে বলবো না পক্ষেও বলবো না। আর কী? আর কী চায়? আর কী দিতে হবে? আমার জানামতে আমাদের দেয়ার মতো আর কিছুই নেই। চাইলেই পাওয়া যায় না। তারা সৌভাগ্যবান চাইলেই পায়। আমি হলে এমন ব্যবস্থা নিতাম চাইলেই যেন না পাওয়া যায়। চাইলেই সব পাওয়া যায় এটা হলো নাকি।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানান এখন সরকারি শিক্ষকদের বেতন কত। এটা যথেষ্ট। প্রাইভেট স্কুল যারা চালাচ্ছে তারা তো সেভাবে দিতে পারবে না। সরকারের সক্ষমতা বাড়ছে সরকার দিতে পারবে। কিন্তু প্রাইভেট সেক্টর কীভাবে দেবে। সরকারকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। শুধু পাবলিক সেক্টরে বাড়ালেই হবে না, প্রাইভেট সেক্টরেও বাড়াতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিক) নিজেরাই বিচার করেন। সরকারি সবারই ডাবল বেতন বেড়েছে। ওভার নাইট ডাবল হয়ে গেছে। ডাবলের কম কারোরই বাড়েনি।’
আন্দোলনরত এবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের ব্যাপারে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘তাদেরতো স্বীকৃতি ছিল না আগে, এখন এমপিওভুক্তি চাচ্ছে। এমপিওভুক্তির প্রশ্ন আসে যাদের আগে চাকরি আছে। তাদেরতো চাকরিই নেই আবার এমপিওভুক্ত কিসের। আগে তাদের চাকরি দিতে হবে। এটা দিলাম কয়েক দিন আগে মাত্র। এটা একটা কাঠামো তৈরি হোক, তারা পাবে অবশ্যই পাবে। আমরা কাউকে বাদ দেব না। কিন্তু একটা কাঠামোই তৈরি হলো না তারা এখন আন্দোলন শুরু করে দিয়েছেন।’
এসময় পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘এই দেশের মানুষ ভালো মন্দ দুটোই আছে। আন্দোলন মানুষ বেশি বোঝে।’