গবেষকরা গতানুগতিক পদ্ধতি মাছ চাষের বাইরে এসে পরিবেশ উপযোগী এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন । সোমবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট কমপ্লেক্সে ‘ডিসিমিনেশন অব অ্যাকুয়াফিস ইনোভেশন ল্যাব রিসার্চ ফাইন্ডিংস’ শীর্ষক কর্মশালায় মৎস্যবিজ্ঞানীরা এ আহ্বান জানান। লবনাক্ত পানিতে পাঙ্গাসের চাষ; খাবার কমিয়ে তেলাপিয়ার সঙ্গে রুই-কাতলা মা এবং, শিং মাছের সঙ্গে রুই-কাতলা মাছ চাষ; ভিন্ন ব্যবস্থাপনায় কই মাছ চাষ; ঘেরে মলা মাছের চাষ সম্পর্কে কর্মশালায় গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। কর্মশালার উদ্দেশ্য সম্পর্কে অ্যাকুয়াফিস ইনোভেশন ল্যাবের প্রধান গবেষক ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. শাহরোজ মাহেন হক বলেন, ইউএসএআইডির একটি প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ৪/৫টি ফিল্ড ল্যাবে এসব গবেষণা করেছে। গবেষণার ফলাফলগুলো এ কর্মশালায় উপস্থাপন করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. রাসেল বরস্কি কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়ার্ল্ড ফিসের ইকোফিস প্রজেক্টের টিম লিডার ও বাকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের প্রফেসর ড. আবদুল ওহাব। বাউরেসের পরিচালক ড. এম এ এম ইয়াহিয়া খন্দকারের সভাপতিত্বে বাকৃবির অধ্যাপক ড. নওশাদ আলম, প্রফেসর ড. শাহরোজ মাহেন হক, প্রফেসর ড. কানিজ ফাতেমা, ড. আশরাফুল ইসলাম, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. লোকমান আলী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খন্দকার আনিসুল হক কর্মশালার বিভিন্ন সেশনে তাদের গবেষণার ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।