বিয়ের আশা দিয়ে সিলেটে নিয়ে ৩দিন আটকে রেখে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মো. সাইফুল ইসলাম (২৬)-কে রোববার গভীর রাতে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করে সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ওই ছাত্রকে রোববার দুপুরে সদর আমলি গ্রহণকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
অভিযুক্ত সাইফুল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কুরবাননগর ইউনিয়নের মাইজবাড়ি এলাকার মৃত আকরম আলীর ছেলে। সে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ শহরের আলফাত স্কয়ার এলাকা থেকে পূর্ব পরিচিত কলেজ ছাত্রীকে প্রথমে একটি অটোরিকসা করে মল্লিকপুর বাসস্টেশনে নিয়ে যায় সাইফুল।
সেখান থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে গাড়িতে করে সিলেটে নিয়ে যায় সে। সেখানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি মেস বাড়িতে নিয়ে তোলে।
পরে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩দিন মেয়েটিকে আটকে রেখে কয়েকবার ধর্ষণ করে সাইফুল। ১৩ জানুয়ারি বিকেলে সুনামগঞ্জ গিয়ে বিয়ে করবে এমন কথা বলে মেয়েটিকে শহরের আলফাত স্কয়ার এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সে। ওইদিন সন্ধ্যার দিকে সদর থানায় গিয়ে মেয়েটি কান্নাকাটি শুরু করলে পুলিশ তার কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনে। পরে থানায় তাকে এ বিষয়ে অভিযোগ দাখিল করতে বলে। রোববার ভোর রাতে সদর থানার এসআই জালালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সিলেট থেকে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান, মেয়েটিকে অভিযুক্ত সাইফুল ভুয়া ঠিকানা দিয়ে প্রতারিত করতে চেয়েছিল। শহরে ফেলে যাওয়ার পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ করে দেয় সে। বর্তমানে মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।