গভীর সমুদ্রে র্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে একটি মাছের ট্রলার থেকে ৫ লাখ পিস ইয়াবাসহ ৮ জন মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে কক্সবাজারে। গতকাল শুক্রবার ভোর পৌনে ৭ টায় কক্সবাজার শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের গভীর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক সবার বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। র্যাব জানায়, উদ্ধার করা ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ২৫ কোটি টাকা।
আটককৃতরা হলেন– আনোয়ারা উপজেলার সরেঙ্গা গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে মোঃ কালু মাঝি (৪৫), খুলুশকুলের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে মোঃ রফিক (৫২), গহিরার মৃত ছালে আহমদের ছেলে মোঃ রফিক (৪৫), দক্ষিণ সরেঙ্গার মৃত খবির আহমেদের ছেলে মোঃ হাসান (৩০), গহিরার মজ্জল আহম্মদের ছেলে হাসমত আলী (৩৫), মৃত সোলেমানের ছেলে নুরুল আলম (৩৭), মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে মোঃ নাসির (৪৫) ও মৃত আব্দল মান্নানের ছেলে মজিবুল ইসলাম (৪০)।
র্যাব–৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মিমতানুর রহমান জানান– দীর্ঘদিনের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও গোয়েন্দা অনুসন্ধানের ভিত্তিতে র্যাব–৭ জানতে পারে যে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের চোরাচালানীদের বেশ কয়েকটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্র মাছের ব্যবসার আড়ালে মিয়ানমার হতে ইয়াবার চালান বাংলাদেশে নিয়ে আসে। এই তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর পৌনে ৭ টার সময় র্যাব–৭ এর
অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মিফতাহ উদ্দিন আহম্মদের নেতৃত্বে একটি দল কক্সবাজারের সন্নিকটে গভীর সমুদ্রে একটি মাছ ধরার ট্রলার ধাওয়া করে আটক করে। পরে আটককৃত ট্রলারটি তল্লাশি করে ট্রলারে মাছ রাখার প্রকৌষ্ঠের ভিতর সুকৌশলে লুকানো ৫ লক্ষ পিস ইয়াবাসহ ৮ জনকে আটক করা হয়। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান, ইয়াবার এ চালানটির মালিক পটিয়ার মুরালী গ্রামের মোঃ ইউসুফ (৪৫)। মিমতানুর রহমান জানান, উদ্ধার করা ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ২৫ কোটি টাকা। অভিযানে ফিশিং ট্রলারটি জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
এদিকে র্যাব–৭ এর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১ জানুয়ারি ২০১৭ হতে ৫ জানুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে র্যাবের অভিযানে সর্বমোট ৩০৫ টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রসহ মোট ৪৮ টি ম্যাগজিন এবং ৩ হাজার ৪৫৬ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি/কার্তুজ উদ্ধারের পাশাপাশি ৭৪ লক্ষ ২১ হাজার ৮৯৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ২৭ হাজার ৪০৯ বোতল ফেনসিডিল, ২ হাজার ২৫৩ বোতল বিদেশী মদ ও বিয়ার, ৫ লক্ষ ১২ হাজার ১৭৫ লিটার দেশীয় তৈরি মদ, ৭১৮ কেজি ২৮০ গ্রাম গাঁজা, ৩৬০ গ্রাম হেরোইন এবং ৪০০ গ্রাম আফিম উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে র্যাব–৭ সমুদ্রে টহল জোরদার করেছে। টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম রুটে অভিযান চালিয়ে ইয়াবার বেশ কয়েকটি বড় বড় চালানও আটক করা হয়েছে।