পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শককসহ অন্তত পাঁচ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রলীগ কর্মী ইভান ও জাহিদকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাউফল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠন উপলক্ষে বিকালে বিলবিলাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাঠে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আসম ফিরোজ সমর্থিত উপজেলা ছাত্রলীগের সভা চলছিল। এ সময় অপরপক্ষ পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল এর সমর্থিত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি(একাংশ) সাইদুর রহমান হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ রায়হান জামসেদের নেতৃত্বে ৪/৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী ঘটনাস্থলে গেলে চিফ হুইপের ছেলে রাহয়ান সাকিবের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চীফ হুইপ সমর্থিত ছাত্রলীগ যুবলীগের অসংখ্য নেতা কর্মী সেখানে জড়ো হয় ।
এসময়ে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করতে গেলে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এ ঘটনায় পুলিশের উপ পরিদশর্ক মো. আনিচুর রহমান সহ অন্ত ৫ ছাত্রলীগ নেতা কর্মী আহত হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, ছাত্রলীগের কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক চীফ হুইপ পুত্র রায়হান সাকিব। এসময়ে হাসান ও জামশেদের নেতৃত্বে সেখানে অতর্কিত হামলা চালানো হয়্। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রলীগের (মেয়র গ্রুপ) সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদ রাহাত জামশেদ বলেন, আমরা ছাত্রলীগের বৈধ কমিটি। কিন্তু তারা সম্পূর্ন অবৈধভাবে গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে ছাত্রলীগের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করছিল। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর জন্য আমরা সেখানে গিয়েছিলাম।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ তিন রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।