সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে ক্লাসে ফেরাতে চায় সরকার। এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে জরুরি বৈঠক ডেকেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজই এই বৈঠক হবে। সচিব, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালককে এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে এ সভা হয়।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এফ এম মঞ্জুর কাদির বলেন, ‘শিক্ষকদের আন্দোলন ছেড়ে ক্লাসে ফেরাতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তারা তো আমাদেরই লোক। শিক্ষকরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবে আর আমরা চুপচাপ থাকব তা তো হতে পারে না।’
শিক্ষকরা আন্দোলনে নেমেছেন প্রধান শিক্ষকের বেতন কাঠামোর সঙ্গে তাদের বেতন কাঠামোর মধ্যে বৈষম্যের অভিযোগ এনে। তারা এই বৈষম্য বিলোপের দাবি জানাচ্ছেন।
সহকারী শিক্ষকদের দাবি, নতুন বেতন কাঠামোতে প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে হচ্ছে। কিন্তু সহকারী শিক্ষকদের বেতন হচ্ছে ১৪তম গ্রেডে। এই বেতন পার্থক্যকে অযৌক্তির দাবি করে তা যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছেন তারা।
দাবি পূরণে শনিবার থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন সহকারী শিক্ষকরা। আর কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন।
দাবি পূরণ না হলে ১ জানুয়ারি নতুন বই উৎসব বর্জনের হুমকিও দিচ্ছেন শিক্ষকরা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘শিক্ষকদের দাবি পূরণের বিষয়টি অনেক উপর পর্যায়ের বিষয়। তবে তাদের দাবির যৌক্তিকতা রয়েছে। এ কারণে বিষয়টি আমলে নিয়ে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। যে কোনোভাবেই এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমরা আজ বৈঠকে বসব। সেখানে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।’