পাঁচ বছরের প্রতিবন্ধী শিশুকে গলাকেটে হত্যার হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বাবাও ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় । তালতলা মধ্যপাড়া নামক স্থানে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
ঘাতক হাবিবুর রহমানকে ময়মসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পারিবারিক অশান্তির কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানা গেছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আট থেকে নয় বছর আগে উপজেলার বরুকা গ্রামের হাজী জয়নাল আবেদীনের ছেলে হাবিবুর রহমান চকরাধাকানাই গ্রামে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে লাবিব হাসান রিয়েন নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে। জামালপুরে একটি এনজিওতে চাকরি করার সময় হাবিবুর আরেকটি বিয়ে করেন। এ খবর শোনার পর প্রথম স্ত্রী দুই থেকে তিন মাস আগে হাবিবুরকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় হাবিবুর তার প্রতিবন্ধী ছেলে রিয়েনকে ফুলবাড়িয়া-ময়মনসিংহ সড়কের তালতলা নামক এলাকায় নিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। পরে নিজেও ওই ছুরি দিয়ে ‘আত্মহত্যার’ চেষ্টা করেন। স্থানীয় লোকজন তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে হাবিবুরকে উদ্ধার করে ময়মসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাবিবুরের ভগ্নিপতি চান মিয়া জানান, তার শ্যালক হাবিবুরকে বৃহস্পতিবার জামালপুর থেকে বাড়িতে আসার কথা তিনি শুনেছেন। তার শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুপুত্রকে নিয়ে পারিবারিকভাবে অশান্তিতে ছিল বলে তিনি শুনেছেন।
স্থানীয় দফাদার মোফাজ্জল হোসেন, মানুষের ভিড় দেখে এগিয়ে গেলে তিনি একটি ধারালো চাকু ও এক জোড়া জুতা দেখতে পান, পরে তিনি ঐগুলো পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
স্থানীয় অটোচালক শাহাজাহান একটি চিঠি (চিরকুট) পেয়েছেন, সেটিতে হাবিবুর লিখেছেন, তাদের হত্যার পেছনে কেউ দায়ী নয়, সে নিজেই এ হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ফুলবাড়ীয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ কবিরুল ইসলাম জানান, শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ পাহারায় হাবিবুরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।