বেআইনি মদ ব্যবসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোয় দিনে-দুপুরে খোদ রাজাধানী দিল্লির বুকে মহিলা কমিশনের এক সদস্যকে বেধড়ক পিটিয়ে, বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানোর অভিযোগ উঠল এক দল দুষ্কৃতির বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে দিল্লির নারেলা এলাকায়।
দিল্লি মহিলা কমিশন সূত্রে খবর, ওই এলাকায় অনেক দিন ধরেই রমরমিয়ে বেআইনি মদের ব্যবসা চলছিল। খবরটা তাদের জানিয়েছিলেন নিগৃহীতা সদস্য। অভিযোগ, এর পরই ওই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত জনা ২৫ দুষ্কৃতি মহিলার উপর চড়াও হয়। রড দিয়ে মেরে, বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানো হয়। গোটা ঘটনার ভিডিও করে দুষ্কৃতীরা। হামলাকারীদের মধ্যে বেশ কয়েক জন মহিলাও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আক্রান্ত মহিলার দাবি, তাকে যখন বিবস্ত্র করে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, ঘটনাস্থলে এক পুলিশকর্মী ছিলেন। তিনি হামলাকারীদের হাত থেকে তাকে বাঁচানোর চেষ্টাও করেন। কিন্তু হামলাকারীরা ওই পুলিশকর্মীকেও মারধর করেন।
দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী জয়হিন্দ বলেন, ‘গোটা ঘটনার ভিডিও করে দুষ্কৃতিরা এলাকায় ছড়িয়ে দিয়েছে। এত বড় একটা ঘটনা ঘটল, অথচ পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নিল না!’ যদিও রোহিনির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রজনীশ গুপ্ত বিবস্ত্র করে ঘোরানোর বিষয়টি খারিজ করে দেন। তার দাবি, হামলার সময় আক্রান্ত মহিলার পোশাক ছিঁড়ে যায়। তার আরও দাবি, হামলাকারীদের মধ্যে কোনও পুরুষ ছিলেন না।
ঘটনাটিকে ‘অত্যন্ত লজ্জাজনক’ আখ্যা দিয়ে লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বাইজালকে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পাশাপাশি, দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছেন তিনি।
দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী জয়হিন্দ বলেন, ‘গোটা ঘটনার ভিডিও করে দুষ্কৃতিরা এলাকায় ছড়িয়ে দিয়েছে। এত বড় একটা ঘটনা ঘটল, অথচ পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নিল না!’ যদিও রোহিনির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রজনীশ গুপ্ত বিবস্ত্র করে ঘোরানোর বিষয়টি খারিজ করে দেন। তার দাবি, হামলার সময় আক্রান্ত মহিলার পোশাক ছিঁড়ে যায়। তার আরও দাবি, হামলাকারীদের মধ্যে কোনও পুরুষ ছিলেন না।
ঘটনাটিকে ‘অত্যন্ত লজ্জাজনক’ আখ্যা দিয়ে লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বাইজালকে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পাশাপাশি, দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছেন তিনি।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা