সরকার কানাডা থেকে তিনটি ড্যাশ বিমান কিনছে । দেশটির উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বোমবারডিয়ার ইনকরপোরেশন কোম্পানি থেকে এসব উড়োজাহাজ কেনা হচ্ছে। আজ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে তিন উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উঠবে। অনুমোদন মিললেই উড়োজাহাজ কেনার চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু হবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে বর্তমানে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, দুইটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর, একটি এয়ারবাস ৩৩০-২০০ এবং দুইটি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি বিমানের নিজস্ব উড়োজাহাজ এবং সাতটি ভাড়ায় সংগ্রহ করা হয়েছে।
ভাড়ায় সংগ্রহ করা ড্যাশ উড়োজাহাজ দিয়ে ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী, সৈয়দপুর, যশোর, বরিশাল ও কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচল করছে। এছাড়া কলকাতা, কাঠমান্ডু, ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক রুটে ড্যাশ বিমান ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব রুটে পরিচালনার জন্য এ তিন ড্যাশ বিমান কেনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিমান সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের প্রথম দিকে রি-ডেলিভারির জন্য বিমানবহর থেকে অপসারণ করা হবে দুইটি উড়োজাহাজ। এছাড়া পাঁচটি উড়োজাহাজ ২০২২ সালের মধ্যে ফেরত দেয়া হবে। তখন বিমানের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে সংকট দেখা দেবে। এদিকে রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্যান্য খরচ ছাড়া দুইটি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ উড়োজাহাজের জন্য মাসিক ভাড়া বাবদ এক লাখ ৬৮ হাজার ডলার দিতে হচ্ছে। তাই বিমান মনে করছে, সরকার টু সরকার পর্যায়ে ছোট উড়োজাহাজ কেনা হলে ব্যয়ের সাশ্রয়সহ দেশীয় সম্পদের উন্নতি ঘটবে। এর আগে ২০১৫ সালে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ বিক্রি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর ২০১৬ সালের ১৫ই নভেম্বর তিনটি উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয় বিমান বোর্ড। এর ভিত্তিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এ প্রস্তাবটি আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদনের জন্য উঠবে।