প্রবাসীরা নভেম্বর মাসে ১২১ কোটি ৫৩ লাখ ডলারের প্রাবাসী আয় বা রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন । এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২৮ শতাংশ এবং বিগত মাস অক্টোবরের চেয়ে সাড়ে ৪ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই-অক্টোবর) ব্যাংকিং চ্যানেলে ৫৭৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের এই ৫ মাসের চেয়ে ১০.৭ শতাংশ বেশি।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, চলতি অর্থবছরের ৫ মাসের মধ্যে এক মাস (সেপ্টেম্বর) ছাড়া বাকি চার মাসেই বেশ ভালো রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এটা অর্থনীতির জন্য সুখবর। অর্থবছরের বাকি মাসগুলোতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর মাসে মাত্র ৮৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। একক মাসের হিসেবে এটা ছিল সাড়ে ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আগের বছরের চেয়ে প্রায় ১৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ কম রেমিটেন্স আসে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১১৫ কোটি ৫৫ লাখ ডলার রেমিটেন্স আসে। দ্বিতীয় মাস অগাস্টে আসে ১৪১ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। অক্টোবর মাসে এসেছে ১১৬ কোটি ২৭ লাখ ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ (১৫.৩১ বিলিয়ন) ডলারের রেমিটেন্স বাংলাদেশে আসে।
এরপর প্রতিবছরই রেমিটেন্স কমেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আড়াই শতাংশ কমে রেমিটেন্স আসে ১,৪৯৩ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে তা সাড়ে ১৪ শতাংশ কমে আসে ১ হাজার ২৭৭ কোটি ডলার, যা ছিল আগের ছয় অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
নভেম্বরে ১২১ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের রেমিটেন্সের মধ্যে সরকারি ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৬ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। দুটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে আসে ৯৯ লাখ ডলার। ৩৯টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ৯২ কোটি ডলার। আর নয়টি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে আসে ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার।