প্রতারক প্রেমিকের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলো না গাইবান্ধার মেধাবী ছাত্রী জেসমিন আক্তার। গর্ভপাত করতে গিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে লাশ হয়ে ফিরতে হলো তাকে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গাইবান্ধার সদর উপজেলার মালিবাড়ি ইউনিয়নের লেংগাবাজার গ্রামের বাসিন্দা খলিলুর রহমান। তার আদরের মেয়ে জেসমিন আক্তার গাইবান্ধায় সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। দীর্ঘদিন যাবৎ দাড়িয়াপুরের মাস্টারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আতিকুর রহমানের সঙ্গে জেসমিন আক্তারের প্রেম চলে আসছিল। সে
গাইবান্ধা শহরের একটি মেসে থাকতো।
বিয়ের প্রলোভনে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় টেকার পর সেখান থেকে আতিক তার প্রেমিকা জেসমিনকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য গত ২৫ তারিখে ঢাকায় যায়। ঢাকা থেকে গত ২৯শে নভেম্বর গাইবান্ধায় এসে মাস্টারপাড়ার কুলসুম নামের এক ধাত্রীর বাড়িতে যায় এবং অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটায়। গর্ভপাতের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বৃহস্পতিবার রাতে জেসমিন আক্তারের মৃত্যু হয়।
তারপর প্রতারক প্রেমিক আতিকুর রহমান প্রেমিকার লাশ নিয়ে ভ্যান যোগে জেসমিনের বাড়িতে যায় এবং হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে লাশ রেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বাড়ির লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে প্রেমিক আতিককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে পুলিশের কাছে সে ঘটনার স্বীকারোক্তি দেয়।
ওসি খান শাহরিয়ার জানান, ঘটনার সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত আতিকের সম্পর্ক অনেকটা মিলেছে। তবে যেখানে গর্ভপাত করানো হয় সে বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। নিহতের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তারপর প্রতারক প্রেমিক আতিকুর রহমান প্রেমিকার লাশ নিয়ে ভ্যান যোগে জেসমিনের বাড়িতে যায় এবং হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে লাশ রেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বাড়ির লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে প্রেমিক আতিককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে পুলিশের কাছে সে ঘটনার স্বীকারোক্তি দেয়।
ওসি খান শাহরিয়ার জানান, ঘটনার সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত আতিকের সম্পর্ক অনেকটা মিলেছে। তবে যেখানে গর্ভপাত করানো হয় সে বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। নিহতের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।