চট্টগ্রামে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স:) উদযাপন উপলক্ষে আজ শনিবার সকালে দেশের সবচেয়ে বড় জশনে জুলুশের র্যালী অনুষ্ঠিত হলো । দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং বিশ্ব শান্তি কামনায় এই জশনে জুলুশের র্যালী বের করেন সুন্নী মতাদর্শী বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় নগরীর জামেয়া আহম্মদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা থেকে জশনে জুলুশের র্যালী বের করা হয়। সেখান থেকে নগরীর বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জারপুল, কাতালগঞ্জ হয়ে অলিখাঁ মসজিদ চকবাজার, প্যারেড ময়দানের পূর্বপাশ পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করা হয়।
সেখান থেকে নগরীর চন্দনপুরা, সিরাজুদ্দৌলা সড়ক, দিদার মার্কেট, দেওয়ান বাজার, আন্দরকিল্লা, মোমিন রোড, কদম মোবারক, চেরাগি পাহাড়, জামালখান, প্রেসক্লাব, খাস্তগীর স্কুল, গণি বেকারি, চট্টগ্রাম কলেজ, প্যারেড ময়দানের পশ্চিম পাশ হয়ে পুনরায় কাতালগঞ্জ, মুরাদপুর, বিবিরহাট প্রদক্ষিণ পূর্বক জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ফিরে আসে।
৩ ঘন্টাব্যাপী জশনে জুলুশের এই র্যালীতে পাকিস্তান থেকে আগত আওলাদে রাসুল আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ নেতৃত্ব দেন বলে জানান চট্টগ্রামে জশনে জুলুশে ইদে মিলাদুন্নবী (স:) উদযাপন কমিটি আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, র্যালীতে আরও অংশ নেন শাহ শাহজাদা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ ও সৈয়্যদ মুহাম্মদ হামেদ শাহ।
এতে চট্টগ্রামসহ দেশের সুন্নী মতাবলম্বি ৩০-৩২ লাখ মানুষ অংশ নেন বলে জানান তিনি। যারা রাস্তার দু‘ প্রান্তে দাড়িয়ে হুজুরকে শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, র্যালীতে অংশ নেওয়া সুন্নী মতাদর্শী উলামায়েদের গাওয়া হামদ ও নাতে রাসুলে ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিমসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের কর্মীরা র্যালীতে অংশ নেওয়া লোকজনকে খাবার ও পানীয় সরবরাহ করে সহায়তা করেন।
তিনি জানান, র্যালী শেষ হওয়ার পর দুপুর ২টায় নগরীর জামেয়া আহম্মদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা ময়দানে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এতে দেশের কল্যাণ ও বিশ্ব শান্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর ঈদে মিলাদুন্নবী (স) উদযাপন উপলক্ষে আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট চট্টগ্রাম মহানগরীতে জশনে জুলুশের র্যালী বের করে। এতে সুন্নী মতাদর্শী সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশসহ সকল সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনগুলো অংশ নেয়।