নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী একেএম ফখরুল ইসলাম পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণকালে চলতি বছরের ১৮ই জুলাই দুদকের হাতে আটক হন । এরপর দুদকের অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে তার শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তির সন্ধান। অভিযোগ উঠে তিনি ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই করতেন না। মন্ত্রণালয় তার এসব অপকর্মের জন্য সাময়িক বরখাস্তও করে। ফখরুলের অনুপস্থিতিতে অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় সমুদ্র অধিদপ্তরের শীপ সার্ভেয়ার ও পরীক্ষক ড. এসএম নাজমুল হককে। কিন্তু হালে নাজমুল হকও একই অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।
দুদকের নজরদারিতে রয়েছেন তিনি। অবৈধ সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে দুদক তাকে চিঠিও দিয়েছে। যদিও তিনি এসব সম্পদ তার বেতন-ভাতার টাকা দিয়ে করেছেন বলে দাবি করছেন। এছাড়া তিনি চলতি দায়িত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তথ্য গোপন করেছেন।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, কোনো কর্মকর্তা গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত হলে উচ্চতর পদে পদোন্নতি কিংবা চলতি দায়িত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আর দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হলে দুদকের ছাড়পত্র (দায়মুক্তির সনদ) নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দুদক অনেক আগেই নাজমুল হকের সম্পদের হিসাব তলব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে নৌ মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে আনা অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন করে। সে তদন্ত চলমান থাকলেও চলতি দায়িত্ব প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তিনি এসব তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া দুদক কর্তৃক তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ ও দ্বিতীয় দফায় সম্পদবিবরণী তলব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংশ্লিষ্ট আয়কর শাখায় দাখিল করা আয়কর রিটার্নে উল্লিখিত সম্পদ বিবরণীর বাইরে একটি প্রাইভেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তিনি ও তার স্ত্রী সাহেলা নাজমুলের নগদ ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নাজমুল হকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে অবহিতকরণের জন্য নৌ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়। এই নির্দেশের পর নৌ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয়। সে তদন্ত দীর্ঘ এক বছরেও শেষ হয়নি। এমনকি গত ২০শে আগস্ট নাজমুল হককে প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব দিয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয়, সেদিন তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামই মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবের দায়িত্বে ছিলেন।
সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে নাজমুল হকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। তৎকালীন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের সহকারি পরিচালক মো, ইব্রাহিম দীর্ঘ দুই বছর অনুসন্ধান করেন। পরে এই অনুসন্ধান কর্মকর্তা নাজমুল হককে তার বিরুদ্ধে উঠা সকল অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশ করেন। কিন্তু দুদক অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিমের সুপারিশ নাকচ করে নতুন অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়। নতুন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হামিদুল হাসান নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের পরীক্ষক ড.এসএম নাজমুল হকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে তার নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অনেক সম্পত্তির তথ্য পান। এরপর কমিশন স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব চেয়ে তার কাছে চিঠি পাঠায়। পরে নাজমুল হক দুদকে সম্পত্তির হিসাব জমা দেন। কিন্তু ২০১৭ সালের প্রথমদিকে দেয়া অনুসন্ধান প্রতিবেদনে হামিদুল হাসানও তাকে অব্যাহতির সুপারিশ করেন। তবে প্রতিবেদনে উল্লিখিত মূল্যের চেয়ে তার স্থাবর সম্পদের প্রকৃত বাজার মূল্য কয়েকগুণ বেশি। ফলে দুদকের নীতি নির্ধারকের কাছে নাজমুল হকের বৈধ আয়ে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। যে কারণে দ্বিতীয় দফা অনুসন্ধান প্রতিবেদন ও নাজমুল হককে অব্যাহতির সুপারিশ নাকচ করে দিয়ে তার বিরুদ্ধে তৃতীয়বারের মতো অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। নতুন অনুসন্ধান কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ গত ১২ই জুলাই এক চিঠিতে তার নিজের এবং স্ত্রী-সন্তান ও তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণী দাখিল করার নির্দেশ দেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, অনুসন্ধান কর্মকর্তা হামিদুল হকের চাহিদার বিপরীতে নাজমুল হক তার নিজের নামে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও খুলনার কিছু স্থাবর সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে ক্রয়কৃত রাজধানীর ২নং সিদ্ধেশ্বরী রোডে ডম ইনো প্যাসিওর চার কক্ষ বিশিষ্ট একটি ফ্ল্যাট। (ফ্ল্যাট নং এ-১)। ফ্ল্যাটটির মূল্য দেখানো হয়েছে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২০১১-১২ অর্থবছরে ক্রয়কৃত রাজধানীর খিলক্ষেত ডম ইনোর ৫ কাঠার একটি আবাসিক প্লটের মূল্য দেখানো হয়েছে ৯ লাখ ৫০ হাজার। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে পূর্বাচল মেরিন সিটিতে ৫ কাঠার একটি আবাসিক প্লটের মূল্য দেখানো হয়েছে ৩ লাখ টাকা। একই অর্থবছরে ৩ লাখ টাকা ক্রয়মূল্য দেখানো হয়েছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ৫ কাঠার একটি আবাসিক প্লটের। ২০০৩-২০০৪ সালে খুলনা মহানগরীর নিরালা আবাসিক এলাকায় ৩ দশমিক ৭৫ কাঠা জমির ক্রয়মূল্য দেখিয়েছেন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এসব সম্পত্তি বেতন ভাতার টাকা দিয়ে ক্রয় করা হয়েছে বলে তিনি সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেছেন। তবে উল্লিখিত সম্পদের মূল্য অবিশ্বাস্য মনে করছেন দুদকের কর্মকর্তারা। তাদের ধারণা তার স্থাবর সম্পত্তির প্রকৃত মূল্য আরো কয়েকগুণ বেশি। যে কারণে পূর্বের অনুসন্ধান কর্মকর্তাদের অনুসন্ধান প্রতিবেদন ও সুপারিশ আমলে নেয়নি কমিশন।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, স্থাবর অস্থাবর এসব সম্পত্তির বাইরে নাজমুল হক ও তার স্ত্রী সাহেলা নাজমুলের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে অঢেল সম্পত্তি রয়েছে। এসব অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, নাজমুল হকের স্ত্রী সাহেলা নাজমুল একজন গৃহিণী হয়ে ২০১৩ সালে অংশীদারিত্ব ব্যবসা করার জন্য গুলশানের এক ব্যক্তিকে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা দেন। পরে অংশীদারিত্ব ও লভ্যাংশ না পেয়ে তিনি ওই ব্যক্তির নামে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন। যার নং ৪২২/১৪। এছাড়া নাজমুল হকও একই ব্যক্তিকে ব্যবসার কাজে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা দেন। স্ত্রীর মতো তিনিও অংশীদারিত্ব ও লভ্যাংশ বঞ্চিত হয়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি মামলা করেন; যার নম্বর ১৯০১/১৪। সরকারি চাকরিজীবী হয়েও ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের আশায় মোটা অঙ্কের পুঁজি বিনিয়োগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেননি তিনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়কর শাখায় দাখিল করা ২০১২-১৩ অর্থবছরের আয়কর রিটার্নেও এই এক কোটি ৫০ লাখ টাকার তথ্য নেই।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, কোনো কর্মকর্তা গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত হলে উচ্চতর পদে পদোন্নতি কিংবা চলতি দায়িত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আর দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হলে দুদকের ছাড়পত্র (দায়মুক্তির সনদ) নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দুদক অনেক আগেই নাজমুল হকের সম্পদের হিসাব তলব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে নৌ মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে আনা অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন করে। সে তদন্ত চলমান থাকলেও চলতি দায়িত্ব প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তিনি এসব তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া দুদক কর্তৃক তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ ও দ্বিতীয় দফায় সম্পদবিবরণী তলব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংশ্লিষ্ট আয়কর শাখায় দাখিল করা আয়কর রিটার্নে উল্লিখিত সম্পদ বিবরণীর বাইরে একটি প্রাইভেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তিনি ও তার স্ত্রী সাহেলা নাজমুলের নগদ ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নাজমুল হকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে অবহিতকরণের জন্য নৌ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়। এই নির্দেশের পর নৌ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয়। সে তদন্ত দীর্ঘ এক বছরেও শেষ হয়নি। এমনকি গত ২০শে আগস্ট নাজমুল হককে প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব দিয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয়, সেদিন তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামই মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবের দায়িত্বে ছিলেন।
সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে নাজমুল হকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। তৎকালীন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের সহকারি পরিচালক মো, ইব্রাহিম দীর্ঘ দুই বছর অনুসন্ধান করেন। পরে এই অনুসন্ধান কর্মকর্তা নাজমুল হককে তার বিরুদ্ধে উঠা সকল অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশ করেন। কিন্তু দুদক অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিমের সুপারিশ নাকচ করে নতুন অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়। নতুন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হামিদুল হাসান নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের পরীক্ষক ড.এসএম নাজমুল হকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে তার নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অনেক সম্পত্তির তথ্য পান। এরপর কমিশন স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব চেয়ে তার কাছে চিঠি পাঠায়। পরে নাজমুল হক দুদকে সম্পত্তির হিসাব জমা দেন। কিন্তু ২০১৭ সালের প্রথমদিকে দেয়া অনুসন্ধান প্রতিবেদনে হামিদুল হাসানও তাকে অব্যাহতির সুপারিশ করেন। তবে প্রতিবেদনে উল্লিখিত মূল্যের চেয়ে তার স্থাবর সম্পদের প্রকৃত বাজার মূল্য কয়েকগুণ বেশি। ফলে দুদকের নীতি নির্ধারকের কাছে নাজমুল হকের বৈধ আয়ে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। যে কারণে দ্বিতীয় দফা অনুসন্ধান প্রতিবেদন ও নাজমুল হককে অব্যাহতির সুপারিশ নাকচ করে দিয়ে তার বিরুদ্ধে তৃতীয়বারের মতো অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। নতুন অনুসন্ধান কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ গত ১২ই জুলাই এক চিঠিতে তার নিজের এবং স্ত্রী-সন্তান ও তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণী দাখিল করার নির্দেশ দেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, অনুসন্ধান কর্মকর্তা হামিদুল হকের চাহিদার বিপরীতে নাজমুল হক তার নিজের নামে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও খুলনার কিছু স্থাবর সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে ক্রয়কৃত রাজধানীর ২নং সিদ্ধেশ্বরী রোডে ডম ইনো প্যাসিওর চার কক্ষ বিশিষ্ট একটি ফ্ল্যাট। (ফ্ল্যাট নং এ-১)। ফ্ল্যাটটির মূল্য দেখানো হয়েছে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২০১১-১২ অর্থবছরে ক্রয়কৃত রাজধানীর খিলক্ষেত ডম ইনোর ৫ কাঠার একটি আবাসিক প্লটের মূল্য দেখানো হয়েছে ৯ লাখ ৫০ হাজার। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে পূর্বাচল মেরিন সিটিতে ৫ কাঠার একটি আবাসিক প্লটের মূল্য দেখানো হয়েছে ৩ লাখ টাকা। একই অর্থবছরে ৩ লাখ টাকা ক্রয়মূল্য দেখানো হয়েছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ৫ কাঠার একটি আবাসিক প্লটের। ২০০৩-২০০৪ সালে খুলনা মহানগরীর নিরালা আবাসিক এলাকায় ৩ দশমিক ৭৫ কাঠা জমির ক্রয়মূল্য দেখিয়েছেন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এসব সম্পত্তি বেতন ভাতার টাকা দিয়ে ক্রয় করা হয়েছে বলে তিনি সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেছেন। তবে উল্লিখিত সম্পদের মূল্য অবিশ্বাস্য মনে করছেন দুদকের কর্মকর্তারা। তাদের ধারণা তার স্থাবর সম্পত্তির প্রকৃত মূল্য আরো কয়েকগুণ বেশি। যে কারণে পূর্বের অনুসন্ধান কর্মকর্তাদের অনুসন্ধান প্রতিবেদন ও সুপারিশ আমলে নেয়নি কমিশন।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, স্থাবর অস্থাবর এসব সম্পত্তির বাইরে নাজমুল হক ও তার স্ত্রী সাহেলা নাজমুলের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে অঢেল সম্পত্তি রয়েছে। এসব অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, নাজমুল হকের স্ত্রী সাহেলা নাজমুল একজন গৃহিণী হয়ে ২০১৩ সালে অংশীদারিত্ব ব্যবসা করার জন্য গুলশানের এক ব্যক্তিকে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা দেন। পরে অংশীদারিত্ব ও লভ্যাংশ না পেয়ে তিনি ওই ব্যক্তির নামে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন। যার নং ৪২২/১৪। এছাড়া নাজমুল হকও একই ব্যক্তিকে ব্যবসার কাজে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা দেন। স্ত্রীর মতো তিনিও অংশীদারিত্ব ও লভ্যাংশ বঞ্চিত হয়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি মামলা করেন; যার নম্বর ১৯০১/১৪। সরকারি চাকরিজীবী হয়েও ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের আশায় মোটা অঙ্কের পুঁজি বিনিয়োগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেননি তিনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়কর শাখায় দাখিল করা ২০১২-১৩ অর্থবছরের আয়কর রিটার্নেও এই এক কোটি ৫০ লাখ টাকার তথ্য নেই।