ঢাকা: আবারো বিএনপির চেয়ারপারসন হিসেবে খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তারেক রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে খালেদা জিয়া চতুর্থবারের মতো বিএনপির চেয়ারপারসন ও তারেক রহমান দ্বিতীয়বারের মতো সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন।
রোববার (৬ মার্চ) বিকেল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও এ নির্বাচনের জন্য গঠিত কমিশনের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এ ঘোষণা দেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব ও দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার আমিনুল হক, ইসির সদস্য ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন আল রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সহকারী রিটানিং অফিসার ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল মান্নান, খালেদা জিয়ার নির্বাচনী এজেন্ট ও দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এবং তারেক রহমানের নির্বাচনী এজেন্ট ও দলের যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান।
জমির উদ্দিন সরকার বলেন, রিটার্নিং অফিসার নজরুল ইসলাম খানের কাছ থেকে চেয়ারপারসন পদে খালেদা জিয়ার নির্বাচনী এজেন্ট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে তারেক রহমানের পক্ষে তার নির্বাচনী এজেন্ট মো. শাহজাহান মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। ৪ ফেব্রুয়ারি তারা রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। আজ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন ছিলো। প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় বিএনপির চেয়ারপাসন হিসেবে খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে তারেক রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
১৯ মার্চ ষষ্ঠ কাউন্সিলের দিন বিএনপির শীর্ষ দুই পদ চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন এ নির্বাচনের জন্য গঠিত কমিশনের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।
চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ৩০ (ত্রিশ) বছর ও তাকে দলের চাঁদাদাতা সদস্য হওয়ার শর্ত ছিলো।