আত্মসমপর্ণ করেছেন ‘মাদককে না বলুন’ এই প্রত্যয়ে সাড়া দিয়ে বরিশালে ১২৮ জন মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী । আজ বুধবার বেলা ১২টায় পুলিশ লাইন্সে এই অনুষ্ঠানে জেলার দশ উপজেলা থেকে আত্মসমপর্ণকারীরা অংশ নেয়। এতে বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. শফিকুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শপথবাক্য পাঠ করান। শুরুতে আত্মসমপর্ণকারীদের ফুল দিয়ে বরণ করেন। আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য তাদের আর্থিক সহায়তা সহ রিক্সা, ভ্যান এবং ৫৮ জনকে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।
মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীরা বলেন, কেউ সঙ্গদোষে বা হতাশা থেকে মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন। এতে করে তাদের পরিবারের সঙ্গে বিরোধ ও সমাজের মানুষ ঘৃনার চোখে দেখেন।
এর থেকে পরিত্রাণ পেতে থানা পুলিশের সহায়তা করার আহ্বানে সাড়া দিয়ে তারা আজকে আত্মসমপর্ণ করেছেন। এখন থেকে অন্যকেও মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে অবহিত করবেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. হাবিববুর রহমান।
দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েকশ মানুষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
গত ১লা আগস্ট মো. সাইফুল ইসলাম বরিশালের পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর জেলার ১০ থানা এলাকায় ওপেন হাউজ ডে এবং কমিউনিটি পুলিশিং সভায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তদের অন্ধকারের পথ আলোর পথে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। পুলিশ সুপারের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে জেলার ১০ থানার ১২৮জন মাদক ব্যবসায়ী প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে আত্মসমর্পন করেন।
তিনি বলেন যাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কিংবা দ- রয়েছে তাদের আত্মসমর্পনের সুযোগ দেয়া হয়নি। পূর্বের মাদক মামলায় যারা জামিনে আছেন তাদের এবং যাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ আছে কিন্তু মামলা নেই তাদের আত্মসমর্পনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। অতীতে যাদের মাদক মামলা রয়েছে তাদের আইন অনুযায়ী আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
এর আগে সোমবার পটুয়াখালীতে ৭৭ জন মাদব সেবী ও বিক্রেতা আত্মসমার্পন করে। ওই দিন সেখানে ১০ জনের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। এছাড়া ভোলা জেলায় ৫৫ জন মাদক সেবী ও বিক্রেতা আত্মসমার্পণ করেছে।
সবমিলিয়ে বরিশাল বিভাগের ৩ জেলায় এ পর্যন্ত ২৬০ জন মাদক সেবী ও বিক্রেতা আত্মসমার্পণ করেছেন বলে জানান ডিআইজি) মো. শফিকুল ইসলাম বিপিএম।
অনুষ্ঠানের সভাপতি পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. হাবিববুর রহমান।
দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েকশ মানুষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
গত ১লা আগস্ট মো. সাইফুল ইসলাম বরিশালের পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর জেলার ১০ থানা এলাকায় ওপেন হাউজ ডে এবং কমিউনিটি পুলিশিং সভায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তদের অন্ধকারের পথ আলোর পথে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। পুলিশ সুপারের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে জেলার ১০ থানার ১২৮জন মাদক ব্যবসায়ী প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে আত্মসমর্পন করেন।
তিনি বলেন যাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কিংবা দ- রয়েছে তাদের আত্মসমর্পনের সুযোগ দেয়া হয়নি। পূর্বের মাদক মামলায় যারা জামিনে আছেন তাদের এবং যাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ আছে কিন্তু মামলা নেই তাদের আত্মসমর্পনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। অতীতে যাদের মাদক মামলা রয়েছে তাদের আইন অনুযায়ী আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
এর আগে সোমবার পটুয়াখালীতে ৭৭ জন মাদব সেবী ও বিক্রেতা আত্মসমার্পন করে। ওই দিন সেখানে ১০ জনের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। এছাড়া ভোলা জেলায় ৫৫ জন মাদক সেবী ও বিক্রেতা আত্মসমার্পণ করেছে।
সবমিলিয়ে বরিশাল বিভাগের ৩ জেলায় এ পর্যন্ত ২৬০ জন মাদক সেবী ও বিক্রেতা আত্মসমার্পণ করেছেন বলে জানান ডিআইজি) মো. শফিকুল ইসলাম বিপিএম।