আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মত প্রকাশের প্রতিবন্ধকতা বলে সমালোচনা উঠা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা থাকছে না বলে আবার জানিয়েছেন । এই ধারা বাতিল করে ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন’ এর আইনের খড়সা আজ বুধবারের মধ্যেই চূড়ান্ত করার কথা জানিয়েছেন তিনি। এরপর তা পাঠানো হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
বুধবার সচিবালয়ে এই খসড়া চূড়ান্ত করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস এ ৫৭ ধারা সেভাবে থাকবে না এবং ফ্রিডম অব স্পিচ (বাক স্বাধীনতা) রক্ষা করার জন্য যে সব চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সের দরকার সেগুলো ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ও সম্প্রচার আইনে থাকবে।’
গত কয়েক বছর ধরে ৫৭ ধারা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। ফেসবুকে লেখালেখি বা অনলাইন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের জেরে এই ধারায় মামলার পর এর অপপ্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। সমালোচকরা বলে আসছেন, এই ধারাটি অত্যন্ত বিস্তৃত এবং কারও বিরুদ্ধে কোনো সংবাদ প্রকাশ হলে এই আইনের আওতায় মামলা করা সম্ভব।
এই ধারায় করা মামলা অজামিনযোগ্য হওয়ায় বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীকে সংবাদ প্রকাশের জেরে কারাগারে যেতে হয়েছে।
বিভিন্ন স্থানে এই ধারাটির অপব্যবহারের কারণে তা বাদ দেয় আরও স্পষ্ট করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত বছরের ২২ আগস্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
খসড়াটি আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইনমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হয়। খসড়াটি চূড়ান্ত করতে এর আগে কয়েক দফা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস-সহ (বেসিস) সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আইনমন্ত্রী। আজও এটি নিয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী।
অন্য এক প্রশ্নের জবাব আইনমন্ত্রী জানান, নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা বিধির খসড়া হাতে এসে পৌঁছেছেদুই একদিনের মধ্যে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে।