ফেসবুক কর্তৃপক্ষ নাগরিক সেবায় ফেসবুক ব্যবহার বিষয়ে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও অধিদপ্তরের পেইজও ভেরিফাইড করে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার ২৭ নভেম্বর বিকালে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে ফেসবুকের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব তথ্য জানান। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এলআইসিটি) প্রকল্পের উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্যোশাল মিডিয়ার যে রকম সৎ ব্যবহার আছে তেমনি অপব্যবহার আছে। ফেসবুকের এই প্রশিক্ষণ ও ভেরিফিকেশন একসাথে হওয়ার কারণে যেটা হয়েছে সরকারের কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ যেন প্রতারণা করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করা যাবে। ফেসবুকের যে আরও উন্নত ব্যবহার আছে সেটাও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জানা যাবে।
পলক বলেন, কেন আজ ফেসবুক ভেরিফিকেশন দরকার? কারণ আমরা চাই স্যোশাল মিডিয়ার অপব্যবহার রোধ করে সরকারের সকল মন্ত্রণালয়, সংস্থা এবং কর্মকর্তারা ফেসবুকের প্ল্যার্টফর্ম ব্যবহার করে জনগণের সেবাটা আরও দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারে। সেবার মান যেন বৃদ্ধি করতে পারে এবং এর মাধ্যমে স্বচ্চতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যাবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন অবদানের কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশর ঘোষণা দেওয়ার আগে কেউ কি কোনও দিন ভেবেছেন এর আগে বাংলাদেশটি কেমন ছিলো। যে বাংলাদেশে ত্রিশ শতাংশ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ ছিলো না। সেই বাংলাদেশে আট কোটি ইন্টারনেট ইউজার। যে বাংলাদেশের আট লক্ষ মানুষের ঘরেও ইন্টারনেট কানেকশন ছিলো না । কেউ কি কখনো ভেবেছে সেই বাংলাদেশে ১০ কোটি মোবাইল ফোন মানুষের পকেটে পকেটে থাকবে।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ফেইসবুকের মাধ্যমে নাগরিকরা কীভাবে সহজে সেবা পাবেন, সমস্যা সমাধানে, উদ্ভাবনে নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে কীভাবে কাজ করা যায় এসব বিষয়ে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।