সাতটি মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন রোহিঙ্গাদের ফেরত না পাঠাতে ভারত সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তা বন্ধের আহ্বানও জানানো হয়েছে। সোমবার পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতা বন্ধের আহ্বান সম্বলিত এক সেমিনারে এ আহ্বান জানানো হয়। এ সম্মেলনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং তাদের অধিকার রক্ষায় ৬ দফা প্রস্তাব গৃহীত হয়। এতে বলা হয়, অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। আক্রান্ত মানুষগুলোকে পুনর্বাসন করতে হবে মিয়ানমার সরকারকেই।
গণহত্যার জন্য যারা দায়ী তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়াও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আহ্বান জানানো হয় ভারতে অবৈধভাবে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদেরকে ফেরত না পাঠাতে। রোহিঙ্গাদেরকে গ্রহণ করতে ও তাদেরকে নাগরিক অধিকার দিতে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আহ্বান জানান ওই সম্মেলনে যোগ দেয়া নেতাকর্মীরা। এ খবর দিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও ডিএনএ। এতে বলা হয়, ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবারটিজ (পিইউসিএল)-এর জাতীয় পর্যায়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মানবাধিকার বিষয়ক কর্মী ড. বিনায়ক সেন। তিনি এসব দাবির প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন। ড. বিনায়ক সেন বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে অমানবিক নৃশংসতা চালানো হয়েছে সর্বান্তকরণে তার নিন্দা জানাই। এর সমাধান খোঁজার চেষ্টা করবো আমরা। পিইউসিএলের পক্ষ থেকে গৃহীত সব প্রস্তাবের পক্ষে আমাদের সমর্থন থাকবে, যেসব প্রস্তাব সোমবার গৃহীত হয়েছে। মানবাধিকার কর্মী বোলান গাঙ্গুলি বলেন, বিশ্বজুড়ে সৃষ্টি করা হয়েছে মুসলিম বিরোধী একটি জোয়ার। এমন পরিস্থিতির বিরুদ্ধে আমাদেরকে লড়াই করতে হবে। তা করার জন্য, আমাদেরকে এ ইস্যুতে ব্যাপক গণ সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। রাজপথ থেকে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। তা করতে হবে এ জন্য যাতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এই নৃশংসতা বন্ধে মিয়ানমার সরকারের ওপর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চাপ সৃষ্টি করে। উল্লেখ্য, ওই সম্মেলনের আয়োজক ছিল এপিসিআর, এনএপিএম, এফওডি, বন্দি মুক্তি কমিটি, এআইপিএফ, পিইউসিএল, সিআরপিপি। সম্মেলন হয় মোলালি যুব কেন্দ্রে।