বন্যহাতির দল গত এক সপ্তাহ ধরে রাতের আঁধারে বিলের পাকা আমন ধান খেয়ে সাবাড় করছে । কষ্টার্জিত এই পাকা আমন ধান রক্ষায় নিরুপায় হয়ে বৈদ্যূতিক ফাঁদ পাতে কৃষকরা। আর তাতে শাবকসহ এক মা হাতি ও অপর একটি হাতির মৃত্যু ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের কুমিরাঘোনা বিলে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এই বন্যহাতি দুটির মৃত্যু ঘটে।
একইভাবে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের রাইখালী বিলে পাকা আমন ধান খেতে আসে বন্যহাতির দল।
কিন্তু বিলে কৃষকের পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদে মৃত্যু ঘটে আরও একটি বন্যহাতির। এ হাতিটির মৃত্যু হয় গত শনিবার সকালে। এভাবে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় কৃষকের পাতা ফাঁদে মরছে একের পর এক বন্যহাতি। শুধু বন্যহাতি মরছে তা নয়, বন্যহাতির আক্রমণে মরছে মানুষও। ক্ষতিসাধিত হচ্ছে ফসল ও ঘরবাড়ির। গত ১৫ দিনে চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলায় গত ১৫ দিনে এমন ৭টি বন্যহাতির মর্মান্তিক মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ বনবিভাগের এক প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে মানুষের মৃত্যু, ঘরবাড়ি ও ফসলহানির বিষয়ে তেমন কোন মন্তব্য না থাকলেও মানুষের পাতা ফাঁদে বন্যহাতি বিপন্ন হচ্ছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে। অবশ্যই এ ব্যাপারে বনবিভাগের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আইন থাকলেও বন্যপ্রাণীর আক্রমণে মানুষের মৃত্যুর বিষয়ে তেমন জোরালো কোন আইন নেই।
তবে আইনে বন্যহাতির আক্রমণে মানুষের মৃত্যু হলে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপুরণ ও ক্ষতিগ্রস্থ ঘরবাড়ি নির্মাণে সরকারি সাহায্য পাওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। আর মানুষের হাতে বন্যহাতি মারা গেলে সর্বনিম্ম ২ থেকে সর্বোচ্চ ৭ বছরের জেল ও জরিমানার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এরপরও বিপন্ন হওয়া থেকে রক্ষা পাচ্ছে না ক্ষুধার যন্ত্রণায় গভীর বন থেকে ছুটে আসা বন্যহাতি। আর এই আইনের কারণে মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ও ফসল রক্ষায় সরাসরি আক্রমণের চেয়ে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পাতছে। ফাঁদে পড়ে একের পর এক বন্যহাতির মৃত্যু ঘটছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় শাবকসহ মা বন্যহাতির মৃত্যুর ঘটনায় পাতা বৈদ্যুতিক তারের ফাঁদ শুকর মারার জন্য পাতা হয়েছে বলে দাবি করছেন বিলের কৃষকরা।
তবে মৃত হাতি ২টির ময়নাতদন্ত স¤পন্ন শেষে বনবিভাগের বড়হাতিয়া বিট অফিসের কর্মকর্তা মো. ইউনুচ মিয়া জানান, এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ২টি মামলা করা হয়েছে। ইউনুচ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি মৃত বন্যহাতি ঘিরে শত শত লোক ভিড় করছে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে সুরতহাল রিপোর্টসহ ময়নাতদন্ত শেষ করে।
চুনতী পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আবদুল জলিল বলেন, স্থানীয় বড়–য়া পাড়ার কিছু ব্যক্তি বন্যশুকর শিকার করার জন্য ধানক্ষেতে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে ফাঁদ পাতে। ওই ফাঁদে বিদ্যুৎ¯পৃষ্ট হয়ে বন্যহাতি দুটি মারা যায়। এ জন্য বিলের অজ্ঞাতনামা কয়েকজন কৃষককে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
একইভাবে ২৫ নভেম্বর শনিবার সকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের ডংনালা পাহাড়ি এলাকার রাইখালী বিলে একটি মৃত বন্যহাতি দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে ছুটে যান কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রুহুল আমিন। তিনি জানান, শুক্রবার গভীর রাত কিংবা শনিবার ভোরে জমিতে ধান খাওয়ার জন্য হাতিটি এলে জমিতে দেয়া বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে জড়িয়ে বিদ্যুৎ¯পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। পরে কাপ্তাই উপজেলা ভেটেনারি সার্জন ডা. তাহমিনা আরজুর মাধ্যমে হাতির মরদেহটি ময়নাতদন্ত শেষে ওই স্থানে মাটি চাপা দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর ওই গ্রামে বন্যহাতির পাল আক্রমণ করে তাদের চাষ করা ধানের ক্ষতি করে। বন্যহাতির আক্রমণ থেকে ধান বাঁচাতে জমির চারপাশে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে তার ঘেরাও করে রাখা হয়। এছাড়া জমিতে বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালিয়ে এবং পটকা বাজিয়ে বন্যহাতির আক্রমণ থেকে তাদের ধান রক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়।
তবে আইনে বন্যহাতির আক্রমণে মানুষের মৃত্যু হলে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপুরণ ও ক্ষতিগ্রস্থ ঘরবাড়ি নির্মাণে সরকারি সাহায্য পাওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। আর মানুষের হাতে বন্যহাতি মারা গেলে সর্বনিম্ম ২ থেকে সর্বোচ্চ ৭ বছরের জেল ও জরিমানার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এরপরও বিপন্ন হওয়া থেকে রক্ষা পাচ্ছে না ক্ষুধার যন্ত্রণায় গভীর বন থেকে ছুটে আসা বন্যহাতি। আর এই আইনের কারণে মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ও ফসল রক্ষায় সরাসরি আক্রমণের চেয়ে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পাতছে। ফাঁদে পড়ে একের পর এক বন্যহাতির মৃত্যু ঘটছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় শাবকসহ মা বন্যহাতির মৃত্যুর ঘটনায় পাতা বৈদ্যুতিক তারের ফাঁদ শুকর মারার জন্য পাতা হয়েছে বলে দাবি করছেন বিলের কৃষকরা।
তবে মৃত হাতি ২টির ময়নাতদন্ত স¤পন্ন শেষে বনবিভাগের বড়হাতিয়া বিট অফিসের কর্মকর্তা মো. ইউনুচ মিয়া জানান, এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ২টি মামলা করা হয়েছে। ইউনুচ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি মৃত বন্যহাতি ঘিরে শত শত লোক ভিড় করছে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে সুরতহাল রিপোর্টসহ ময়নাতদন্ত শেষ করে।
চুনতী পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আবদুল জলিল বলেন, স্থানীয় বড়–য়া পাড়ার কিছু ব্যক্তি বন্যশুকর শিকার করার জন্য ধানক্ষেতে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে ফাঁদ পাতে। ওই ফাঁদে বিদ্যুৎ¯পৃষ্ট হয়ে বন্যহাতি দুটি মারা যায়। এ জন্য বিলের অজ্ঞাতনামা কয়েকজন কৃষককে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
একইভাবে ২৫ নভেম্বর শনিবার সকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের ডংনালা পাহাড়ি এলাকার রাইখালী বিলে একটি মৃত বন্যহাতি দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে ছুটে যান কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রুহুল আমিন। তিনি জানান, শুক্রবার গভীর রাত কিংবা শনিবার ভোরে জমিতে ধান খাওয়ার জন্য হাতিটি এলে জমিতে দেয়া বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে জড়িয়ে বিদ্যুৎ¯পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। পরে কাপ্তাই উপজেলা ভেটেনারি সার্জন ডা. তাহমিনা আরজুর মাধ্যমে হাতির মরদেহটি ময়নাতদন্ত শেষে ওই স্থানে মাটি চাপা দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর ওই গ্রামে বন্যহাতির পাল আক্রমণ করে তাদের চাষ করা ধানের ক্ষতি করে। বন্যহাতির আক্রমণ থেকে ধান বাঁচাতে জমির চারপাশে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে তার ঘেরাও করে রাখা হয়। এছাড়া জমিতে বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালিয়ে এবং পটকা বাজিয়ে বন্যহাতির আক্রমণ থেকে তাদের ধান রক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়।