যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্বঘোষিত বিজ্ঞানী মাইক হিউজ তার অভিযোগ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও মহাকাশচারীরা নাকি চক্রান্ত করে যুগ যুগ ধরে মানুষকে বোকা বানিয়ে আসছেন এই বলে যে পৃথিবী গোল! আসলে পৃথিবী গোল নয়, চ্যাপ্টা- এটি প্রমাণ করতে নিজের বানানো রকেটে কাল উড়াল দেবেন।
একষট্টি বছরের এই লিমোচালক রকেট পেলেন কোথায়? মাইক জানান, নিজের গ্যারেজে ছাঁট লোহা দিয়ে তিনিই বানিয়েছেন বাষ্পচালিত রকেট। এটা তার ‘ফ্ল্যাট আর্থ স্পেস প্রোগ্রাম’-এর প্রথম দফা।
তার ‘ফ্ল্যাট আর্থ স্পেস প্রোগ্রাম’-এর অর্থ সংগ্রহের একটি ভিডিওতে মাইক বলেন ‘আমি বিজ্ঞানে বিশ্বাস করি না। আমার এই প্রয়াস গোল পৃথিবীর তত্ত্বটাকে একেবারে গুঁড়িয়ে দেবে চিরকালের জন্য ।’
কীভাবে পৃথিবীকে চ্যাপ্টা প্রমাণ করবেন সে সম্পর্কে মাইক বলেন, ক্যালিফোর্নিয়ার ‘ভূতুড়ে’ শহর অ্যামবয় থেকে কাল নিজের তৈরি রকেটে চেপে উড়ল দেবেন তিনি। রকেট উৎক্ষেপণের আগে কাল সকালেই বড় একটি স্টিলের ট্যাঙ্কে প্রায় ৭০ গ্যালন জল গরম করবেন। এর পর বাষ্পের চাপকে কাজে লাগিয়ে ছিটকে উঠবেন তিনি। মাইল খানেক উড়ে খুলবেন দুটি প্যারাস্যুট। স্থানীয় সময় দুপুর দুইটা থেকে তিনটার মধ্যে এই গোটা ঘটনা মাইকের ইউটিউব চ্যানেলে লাইভ দেখানো হবে। মাইকের ধারণা, ক্যামেরায় দেখা যাবে, মোজাভে মরুভূমির ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৮০০ কিলোমিটার বেগে উড়ে যাচ্ছেন তিনি। উদ্দেশ্য, ১০ মাইল উচ্চতায় ওঠা, যাতে নাকি প্রমাণ হয়ে যাবে যে, পৃথিবীটা আকারে একটা চাকতির মতো।
উড়ান কাল। মাইকের এখন তাই দম ফেলার সময় নেই। রকেটের সব ঠিকঠাক আছে কি না, দিনভর সেই সব দেখাশোনা করেছেন। পুষ্যি চারটে বিড়ালের জন্য জমিয়ে রেখেছেন পর্যাপ্ত খাবারদাবার।
মাইক কেন এমন কাণ্ডে মেতেছেন? জবাবে বললেন, ‘কেউই তো চিরকাল বাঁচব না। তাই অসাধারণ কিছু করতে চাই, যা অন্য কেউ করতে পারবে না। একজন নিজেই নকশা ও রকেট বানিয়ে নিজেকেই উৎক্ষেপণ করছেন, এমন ঘটনা তো মানবজাতির ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি!’
বিজ্ঞানে বিশ্বাস করেন না, মহাকাশ ও উৎক্ষেপণ নিয়ে কোনো প্রশিক্ষণ না নেই- কীভাবে বানালেন রকেট?
মাইকের বক্তব্য, ‘বায়ুগতিবিজ্ঞান ও তরলগতিবিজ্ঞান সম্বন্ধে আমার জানা রয়েছে। হাওয়া দিয়ে কোনো জিনিস কীভাবে এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাবে, সেই বিষয়ে ধারণাও রয়েছে। আর রকেটের মুখের মাপও আমি জানি। এগুলোর কোনোটাই বিজ্ঞান নয়। শুধু একটা সূত্র মাত্র!’
মাইকের পরের লক্ষ্য, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হওয়া! সূত্র: আনন্দবাজার।