আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ আসিয়ান ও দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশে একযোগে এশিয়ার বৃহত্তম এমপ্লয়ি অনলাইন অ্যাক্টিভেশন ইভেন্ট পালন করল। কর্মকর্তাদের মেধা ও যোগ্যতাকে ডিজিটাল উপায়ে আরো কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে এ আয়োজন করেছে কোম্পানিটি। বাংলাদেশের রবি আজিয়াটা লিমিটেডের কর্মকর্তারাসহ গ্রুপের মোট ১২ হাজার কর্তকর্তা এই অ্যাক্টিভেশন ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন।
গ্রুপের কোম্পানিগুলোতে কর্মরত সকল স্তরের কর্মকর্তাদের ডিজিটাল দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী তিন বছরে ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে আজিয়াটা। ডিজিটাল কোম্পানিতে রূপান্তরের অন্যতম স্তম্ভ ডিজিটাল ট্যালেন্টকে আরো শানিত করার লক্ষ্যে আজিয়াটা পরিচালিত কোম্পানিগুলোতে আরো আধুনিক, গতিশীল ও ডিজিটাল কাজের সংস্কৃতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে কোম্পানিটি।
আজিয়াটার প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার তান শ্রী জামালুদিন ইব্রাহিম বলেন, ‘বিশ্বে যোগাযোগের ধরণ ও প্রক্রিয়া ক্রমাগত পরির্তন হচ্ছে। তাই গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ, সল্যুশন নির্মাণ, নতুন নতুন সেবা চালু করা, সেবা ও পণ্যে বৈচিত্র আনা এবং গ্রাহকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে টেলিযোগাযোগ শিল্পেরও নতুন পথ অনুসরণ করার বিকল্প নেই। আমাদের কমকর্তারা মালয়েশিয়া বা বাংলাদেশ যেখানেই কাজ করুক না কেন তারাই হচ্ছে আমাদের সাফল্যের মূল চালিকা শক্তি। যেভাবে সবকিছু দ্রুত ডিজিটাল হচ্ছে, তাতে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে হলে আমাদের মেধা ব্যবস্থপানায়ও ডিজিটাল হওয়া সময়ের দাবি।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে আমরা ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্টে ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছি। আমাদের অগ্রগতিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিতে এবং ডিজিটাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে আমরা আমাদের কর্মকর্তাদের ডিজিটাল লার্নিংয়ের ওপর জোর দিয়েছি। এর লক্ষ্য আমরা যেন কোন বিষয় নিয়ে ভাবতে, কাজ করতে বা নতুন কিছু তৈরি করতে ডিজিটাল আবহটা কাজে লাগাতে পারি।’
বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিজিটাল লাইফস্টাইলের দিকে ঝুকছে। তাই ডিজিটাল কোম্পানিতে রূপান্তরিত হওয়ার মাধ্যমে গ্রাকদের চাহিদা মেটানোর দিকে নজর দিয়েছে রবি।
রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ডিজিটাল কোম্পানিতে রূপান্তরিত হওয়ার লক্ষ্যে রবির উদ্যোগে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে কোম্পানির কর্মকর্তারা। আমরা সবাই ডিজিটাল উপকরণের মাধ্যমে কাজ করে অভ্যস্ত। এরপরও আমরা মনে করি আমাদের কর্মকর্তাদের ডিজিটাল মানসিকতার সাথে আরো একাত্ম হওয়া প্রয়োজন।
২০১৭ সালে আজিয়াটা গ্রুপ জুড়ে কর্মকর্তাদের ডিজিটাল প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সে প্রেক্ষিতেই এই ডিজিটাল জ্যামের আয়োজন। যার মাধ্যমে সকল কর্মকর্তারা ডিজিটাল ওয়ার্ক টুলের মাধ্যমে কাজ করা, বিওটি ইন্টারফেসিং গেম এবং আরো অনেক ডিজিটাল লার্নিংয়ের অভিজ্ঞতা নিচ্ছেন। এ অ্যাক্টিভেশন ডের মাধ্যমে কর্মকতারা নতুন প্রযুক্তির সাথে আরো পরিচিত হয়ে উঠবেন এবং ব্যবসায়িক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে পারবেন।
ছয়টি দেশজুড়ে বিস্তৃত আজিয়াটার কোম্পানিগুলো ডিজিটাল কোম্পানিতে রূপান্তরিত হওয়ার চেষ্টা করছে এবং তাদের কর্মকর্তাদের সে অনুযায়ী প্রশিক্ষিত করে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা সাজাচ্ছে। সে প্রচেষ্টাকে সার্থক করে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে ডিজিটাল জ্যাম একটি।