ঘর ভর্তি ত্রাণ মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ি ঘরে জায়গা নেই। তাই এসব ত্রাণ বিক্রি করে দিচ্ছে রোহিঙ্গারা। প্রতিদিন রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিক্রির ফলে স্থানীয়রা কম দামে নিত্যপণ্য পাচ্ছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক ব্যবসা বেড়েছে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। আবার অনেকে এসব ত্রাণ কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছে। রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ এসব ত্রাণ গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিক্রি করছে।
রোহিঙ্গাদের অজুহাত- তাদের হাতে টাকা পয়সা নেই, তাই অতিরিক্ত ত্রাণ রেখে লাভ কি? তাই তারা ত্রাণগুলো বিক্রি করে দিচ্ছে। উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১২টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে প্রতিদিনই লাখ টাকার ত্রাণ ও অর্থ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি ক্যাম্পেই রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ। এসব ক্যাম্পে ত্রাণের কারণে ঘুমানোর মতো জায়গাও নেই। তবে কিছু রোহিঙ্গার অভিযোগ, তারা বিক্রি করার মতো ত্রাণ পায়নি। মাঝিরাই ত্রাণগুলো বেশি নিচ্ছে, তাই তারা বিক্রি করছে। এদিকে ত্রাণ বিতরণের কাজে যুক্ত কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ত্রাণসামগ্রী দেয়া হচ্ছে। খাদ্যপণ্যের পাশাপাশি গৃহনির্মাণ সামগ্রী, কম্বল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেয়া হচ্ছে। বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২নং ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের আবুল কালাম জানান, বাংলাদেশে আসার পর থেকে বিপুল পরিমাণ ত্রাণ পেয়েছেন। মিয়ানমারে যে অভাব ছিল তা এখন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নেই। প্রতি সপ্তাহেই ত্রাণ পাচ্ছেন। তার ছোট ঘরে এত ত্রাণ রাখার জায়গা নেই। তাই ত্রাণ বিক্রি করে কিছু নগদ টাকা পাচ্ছেন।
কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লম্বাশিয়া বস্তিতে ঝুপড়িতে বসবাস করা আলম মিয়া ও মিনারা বেগমের ঘরে গিয়ে দেখা গেছে ত্রাণের জন্য তাদের ঝুপড়িতে তিল ধারণের জায়গা নেই। এমন কি তারা দুই সন্তান নিয়ে রাতে ত্রাণের উপরই ঘুমান। আলম মিয়া বলেন, আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি, বাংলাদেশের মানুষ খুব ভালো। তিনি বলেন, আসার পর থেকে অনেক ত্রাণ পেয়েছি, তাই এত চাল, ডাল ও তেল নিয়ে কী করবো। এজন্য স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছি। হাতে কিছু নগদ টাকা থাকলে আর কোনো ভয় থাকে না। চার জনের পরিবার ১৫-২০ কেজির মতো চাল ত্রাণ হিসেবে প্রতিবার পান বলে জানান তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগদ টাকার জন্য দেশি-বিদেশি সাহায্য সংস্থা, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দেয়া বিভিন্ন ধরনের ত্রাণসামগ্রী বিক্রি করে দিচ্ছে রোহিঙ্গারা। বাজারে থাকা দামের চেয়ে অর্ধেক দামে এসব সামগ্রী বিক্রি করছে। আর অল্পমূল্যে কেনা এসব ত্রাণসামগ্রী কিনে বেশি দামে বিক্রি করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ত্রাণ কিনতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক কয়েকটি সিন্ডিকেটও গড়ে উঠেছে এরই মধ্যে। কুতুপালং, বালুখালী, হাকিম পাড়া, তাজনিরমার ঘোনা, জামতলীসহ সব ক্যাম্পেই একই চিত্র। ত্রাণ বিত্রিুর হিড়িক।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে এক কেজি চালের দাম ৫০-৬০ টাকা। সেখানে রোহিঙ্গারা ত্রাণের চাল বিক্রি করছে মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। ৬০ টাকা কেজি দরে চিনি কিনে রোহিঙ্গাদের দেয়া হচ্ছে। আরা রোহিঙ্গারা সেই চিনি বিক্রি করছে ৩০ টাকায়। বাজারে প্রতি কেজি ডালের দাম ১২০ টাকা। সেখানে রোহিঙ্গারা বিক্রি করছে ৬০ টাকায়। ১২০ টাকা লিটারের সয়াবিন তেল বিক্রি করছে মাত্র ৬০ টাকায়। এ ছাড়া ৫০০ গ্রাম ডানো দুধ বিক্রি করছে ৮০ টাকায়। চিঁড়া বাজারে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর রোহিঙ্গারা বিক্রি করছে ১৫ টাকা কেজি।
সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৫-৭ জন সদস্যের একটি রোহিঙ্গা পরিবারকে সপ্তাহে দুই বার ত্রাণ দেয়া হয়। এর মধ্যে ১০-১৫ কেজি চাল, ২-৩ কেজি ডাল ও ২-৩ লিটার তেল দেয়া হয়। এ হিসাব অনুযায়ী, তারা সপ্তাহে ২০-৩০ কেজি চাল, ৪-৬ কেজি ডাল ও ৪-৬ লিটার তেল পান।
বালুখালী ক্যাম্পের গোলাম শরীফ বলেন, ‘আমার বাড়িতে অনেক ত্রাণ আছে। এখন টাকার প্রয়োজন তাই ত্রাণ বিক্রি করে দিচ্ছি।’ কুতুপালং বাজারে চাল বিক্রি করতে আসা রোহিঙ্গা মরিয়ম বলেন, গত ২০ দিনে বাসায় পাঁচ বস্তা চাল জমা হয়েছে। এত চাল আমাদের লাগবে না। প্রতিদিন চাল পাচ্ছি। তাই টাকার প্রয়োজনে দুই বস্তা চাল ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দিয়েছি।
রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিত্রিুর ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বালুখালী ক্যাম্প ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, চেকপোস্টগুলোতে প্রতিদিন ত্রাণসহ লোকজন আটকের ঘটনা ঘটছে। আমরা বিষয়গুলো নজরদারির মধ্যে রেখেছি।
কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লম্বাশিয়া বস্তিতে ঝুপড়িতে বসবাস করা আলম মিয়া ও মিনারা বেগমের ঘরে গিয়ে দেখা গেছে ত্রাণের জন্য তাদের ঝুপড়িতে তিল ধারণের জায়গা নেই। এমন কি তারা দুই সন্তান নিয়ে রাতে ত্রাণের উপরই ঘুমান। আলম মিয়া বলেন, আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি, বাংলাদেশের মানুষ খুব ভালো। তিনি বলেন, আসার পর থেকে অনেক ত্রাণ পেয়েছি, তাই এত চাল, ডাল ও তেল নিয়ে কী করবো। এজন্য স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছি। হাতে কিছু নগদ টাকা থাকলে আর কোনো ভয় থাকে না। চার জনের পরিবার ১৫-২০ কেজির মতো চাল ত্রাণ হিসেবে প্রতিবার পান বলে জানান তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগদ টাকার জন্য দেশি-বিদেশি সাহায্য সংস্থা, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দেয়া বিভিন্ন ধরনের ত্রাণসামগ্রী বিক্রি করে দিচ্ছে রোহিঙ্গারা। বাজারে থাকা দামের চেয়ে অর্ধেক দামে এসব সামগ্রী বিক্রি করছে। আর অল্পমূল্যে কেনা এসব ত্রাণসামগ্রী কিনে বেশি দামে বিক্রি করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ত্রাণ কিনতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক কয়েকটি সিন্ডিকেটও গড়ে উঠেছে এরই মধ্যে। কুতুপালং, বালুখালী, হাকিম পাড়া, তাজনিরমার ঘোনা, জামতলীসহ সব ক্যাম্পেই একই চিত্র। ত্রাণ বিত্রিুর হিড়িক।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে এক কেজি চালের দাম ৫০-৬০ টাকা। সেখানে রোহিঙ্গারা ত্রাণের চাল বিক্রি করছে মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। ৬০ টাকা কেজি দরে চিনি কিনে রোহিঙ্গাদের দেয়া হচ্ছে। আরা রোহিঙ্গারা সেই চিনি বিক্রি করছে ৩০ টাকায়। বাজারে প্রতি কেজি ডালের দাম ১২০ টাকা। সেখানে রোহিঙ্গারা বিক্রি করছে ৬০ টাকায়। ১২০ টাকা লিটারের সয়াবিন তেল বিক্রি করছে মাত্র ৬০ টাকায়। এ ছাড়া ৫০০ গ্রাম ডানো দুধ বিক্রি করছে ৮০ টাকায়। চিঁড়া বাজারে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর রোহিঙ্গারা বিক্রি করছে ১৫ টাকা কেজি।
সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৫-৭ জন সদস্যের একটি রোহিঙ্গা পরিবারকে সপ্তাহে দুই বার ত্রাণ দেয়া হয়। এর মধ্যে ১০-১৫ কেজি চাল, ২-৩ কেজি ডাল ও ২-৩ লিটার তেল দেয়া হয়। এ হিসাব অনুযায়ী, তারা সপ্তাহে ২০-৩০ কেজি চাল, ৪-৬ কেজি ডাল ও ৪-৬ লিটার তেল পান।
বালুখালী ক্যাম্পের গোলাম শরীফ বলেন, ‘আমার বাড়িতে অনেক ত্রাণ আছে। এখন টাকার প্রয়োজন তাই ত্রাণ বিক্রি করে দিচ্ছি।’ কুতুপালং বাজারে চাল বিক্রি করতে আসা রোহিঙ্গা মরিয়ম বলেন, গত ২০ দিনে বাসায় পাঁচ বস্তা চাল জমা হয়েছে। এত চাল আমাদের লাগবে না। প্রতিদিন চাল পাচ্ছি। তাই টাকার প্রয়োজনে দুই বস্তা চাল ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দিয়েছি।
রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিত্রিুর ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বালুখালী ক্যাম্প ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, চেকপোস্টগুলোতে প্রতিদিন ত্রাণসহ লোকজন আটকের ঘটনা ঘটছে। আমরা বিষয়গুলো নজরদারির মধ্যে রেখেছি।