কোর্চিং বাণিজ্য বন্ধে শিগগিরই একটি আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। সরকারের কঠোর পদক্ষেপের ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও কোচিং বাণিজ্য বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে।আর প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে পরীক্ষা কেন্দ্রে স্মার্ট মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে একাধিক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসব তথ্য জানান।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা কিছু শিক্ষকের নৈতিক স্খলনের অভিযোগ তুলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিজি প্রেস কিংবা প্রশাসনের ক্ষেত্রে ফাঁস হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আগে পরীক্ষা শুরুর কয়েক ঘন্টা আগে অর্থাৎ সকালের দিকে কিছু শিক্ষকের হাতে প্রশ্ন দেয়ায় তা ফাঁস হয়ে যেত। এটা এখন বন্ধ করা হয়েছে। এখন পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশের নিয়ম করা হয়েছে। শিক্ষকদেরও মোবাইল ফোন বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডাকসুসহ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র-সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টি দলীয় এমপি জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী জানান, আমরা এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেকগুলোকে উৎসাহ দিয়ে আসছি। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা এ নিয়ে উদ্যোগ নেন না। জোর করে সরকারের মন্ত্রণালয় গিয়ে ওইসব প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নির্বাচন করাতে পারে না।