এক সঙ্গে ৯৫ কেজি। রোগী নয়- অ্যাম্বুলেন্স ভর্তি গাঁজা। পাঁচ-দশ কেজি নয়। বৃহস্পতিবার রাতে এই বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ সীমান্ত থেকে আসা পাচারকারী চক্রকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের একটি টিম। গতকাল মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলায় (নং-৪৯) তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. সবুজ (২৫), মো. মিলন (২৮) ও জাহিদ হাসান (২৪)।
ডিবি সূত্র জানায়, এর আগে একইভাবে অ্যাম্বুলেন্সে করে গাঁজার একাধিক বড় চালান রাজধানীতে এসেছে। ভারতীয় সীমান্ত পার হয়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে তা ঢাকায় ঢোকে। এরপর বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। এমন তথ্যের পর বেশ কিছুদিন ধরে অনুসন্ধান অব্যাহত রাখলেও দীর্ঘদিন তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। চক্রের সদস্যরা পুলিশের চেকপোস্টের পরিস্থিতি ও তল্লাশির খবর জানিয়ে রাস্তা ক্লিয়ার থাকার তথ্য দেয়ার পরই অ্যাম্বুলেন্সটি চেকপোস্ট পার হতো। তবে এবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধরা পড়ে চালানটি। ডিবি পুশি জানায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর এলাকায় পৌঁছলে অ্যাম্বুলেন্সটিকে থামার সংকেত দেয় পুলিশ। তবে চালক না থেমে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশও পেছন থেকে ধাওয়া করে। পরে মোহাম্মদপুরের টিকাপাড়া পানির পাম্পের কাছে তাদের আটকানো সম্ভব হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার খন্দকার রবিউল আরাফাত লেনিন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা অ্যাম্বুুলেন্সে করে সীমান্ত এলাকা হতে গাঁজা নিয়ে এসে ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল। তারা গাঁজা নিয়ে যাতায়াতের সময় তাদের অ্যাম্বুলেন্সের সামনে একটি এস্কর্ট পার্টি রাখে। যারা রাস্তার ক্লিয়ারেন্স দেয়। এভাবেই চেকপোস্টে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতো। ডিবি দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ মানবজমিনকে বলেন, এর আগেও তারা মাদকের বড় বড় চালান এনেছে।
এ চক্রের সঙ্গে জড়িত আরো কয়েকজনের নাম জানা গেছে। পুলিশ তাদের খুঁজছে।
৪৯ মাদক বিক্রেতা ও সেবী গ্রেপ্তার: এদিকে, রাজধানীতে আরো ৪৯ জন মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যসহ তাদেও গ্রেপ্তার কওে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ১৬৬টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ২১০ গ্রাম ওজনের ৫৬২ পুরিয়া হেরোইন, ১ কেজি ৩০০ গ্রাম গাঁজা, ১৬৯৫ বোতল ফেনসিডিল ও ৬০টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়। বিভিন্ন ঘটনায় দায়ের করা পৃথক মামলায় তাদেরকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ চক্রের সঙ্গে জড়িত আরো কয়েকজনের নাম জানা গেছে। পুলিশ তাদের খুঁজছে।
৪৯ মাদক বিক্রেতা ও সেবী গ্রেপ্তার: এদিকে, রাজধানীতে আরো ৪৯ জন মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যসহ তাদেও গ্রেপ্তার কওে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ১৬৬টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ২১০ গ্রাম ওজনের ৫৬২ পুরিয়া হেরোইন, ১ কেজি ৩০০ গ্রাম গাঁজা, ১৬৯৫ বোতল ফেনসিডিল ও ৬০টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়। বিভিন্ন ঘটনায় দায়ের করা পৃথক মামলায় তাদেরকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।