ইয়াবা পাচার বিজিবি-র্যাব-পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কারও যেন নিয়ন্ত্রণে নেই। প্রায় প্রতিদিন তারা ইয়াবা উদ্ধার করলেও তা পাচার হওয়ার তুলনায় যত সামান্য। বিষয়টি স্বীকার করে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. কামরুজ্জামান বলেন, যেসব কলা-কৌশলে ইয়াবা পাচার চলছে তাতে তা নিয়ন্ত্রণে থাকার কথাও নয়। ইয়াবা পাচার এখন গণসার্ভিসে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, নিত্য-নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। কামরুজ্জামান বলেন, ইয়াবা পাচারে আগে কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী জড়িত ছিল।
পরে সেবনকারীরাও পাচারে জড়িয়ে পড়ে। এখন তারা আড়ালে থেকে সাধারণ নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর দিয়ে পাচার করছে। এ কাজের সঙ্গে পুলিশ-আনসারসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনও জড়িয়ে পড়েছে। ফলে ইয়াবা পাচার এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরেই বলা চলে।
মাত্র দুদিন আগে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা সদরে ৭ হাজার ইয়াবাসহ ধরা পড়ে শামসুল আলম (৫০) নামে এক পাচারকারী। জিজ্ঞাসাবাদে তার বিবরণেও ইয়াবা পাচারের নতুন কলা-কৌশল সম্পর্কে জানা যায়। পুলিশকে দেয়া তথ্যে শামসুল আলম বলেন, দীর্ঘ ৫-৬ বছর ধরে তিনি ইয়াবা পাচার করছেন। কিন্তু কৌশলের কারণে কোনো সময়ই ধরা পড়েননি। তবে এবার পেছনে থাকা লোকের কারণে তিনি ধরা পড়েছেন।
শামসুল আলম বলেন, আগে এক সময় কক্সবাজার থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে ইয়াবা পাচার করতেন তিনি। পরে তা পুলিশের নজরে আসায় কয়েকটি প্রাইভেট গাড়ি ধরা পড়ে। ফলে বিরতিহীন বাস সার্ভিসে ইয়াবা পাচার শুরু করি। তাও পুলিশ-র্যাব, বিজিবির নজরে আসে। বেশ কয়েকজন ইয়াবাসহ ধরাও পড়ে। এরপর গণপরিবহনে ইয়াবা পাচার করা হলেও সেগুলো তল্লাশির মুখ পড়ছে। ফলে এখন কৌশল পাল্টে গাড়ি ও সড়ক বদল করে ইয়াবা পাচার করছেন তিনি; যা পুলিশের হাতে ধরা পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সরাসরি ইয়াবা না নিয়ে গ্রামের ভেতরের সড়কগুলো দিয়ে টেম্পু বা সিএনজি অটোরিকশায় ইয়াবা পাচার করা হচ্ছে। সাতকানিয়া থেকে বাঁশখালী বাঁশবাড়িয়া থেকে চন্দনাইশ পটিয়াতে নেমে বোয়ালখালী সড়ক দিয়ে চট্টগ্রামে ইয়াবা আনা হচ্ছে। একইভাবে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কেও মিরসরাই, ফেনী ও কুমিল্লায় নেমে সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইয়াবা পাচার করা হচ্ছে। আর এতগুলো সড়কে পাহারা দেওয়া পুলিশের পক্ষে সম্ভবও নয় বলে নির্বিঘ্নে পাচার চলছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য দেয় শামসুল আলম।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, ইয়াবা পাচারে পুলিশ ও আনসারের বিপদগামী কিছু সদস্য জড়িত রয়েছে। যার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। কয়েকজন পুলিশ ও আনসার ইয়াবাসহ ধরাও পড়েছে। এদের বিরুদ্ধে আমরা বিভাগীয় পদক্ষেপ ও প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি। এ বিষয়ে কর্মরত সব পুলিশ সদস্যকে সতর্ক করা হয়েছে। তবুও বিপদগামী পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ওপর নজরদারি রয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ১০ মাসে চট্টগ্রামে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার হরা হয়। এরমধ্যে র্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্ধারকৃত ইয়াবার হিসাবও রয়েছে। এতে মামলা হয়েছে ১ হাজার ৩০০টিরও বেশি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (গোয়েন্দা) জিল্লুর রহমান বলেন, শামসুলকে আমরা পটিয়া থেকে গ্রেপ্তার করি। তার বাড়ি টেকনাফ উপজেলার মধ্যম হ্নীলা গ্রামে। এর আগে আরও কয়েকজন ইয়াবাসহ একইভাবে পটিয়া এলাকায় এসে আটক হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ইয়াবা পাচারের নতুন নতুন কৌশলের কথা জানা যাচ্ছে। এর আগে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের সামনে থেকে ৭ হাজার ইয়াবাসহ ৮ বছরের শিশু ও তার মা ধরা পড়ে। তাদের বাড়িও টেকনাফে।
জিল্লুর রহমান বলেন, শুধু চট্টগ্রামেই প্রতিদিন ইয়াবার দু-তিনটি চালান ধরা পড়ছে। তাতে ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকা বা কোনো কোনো সময় বড় চালানে কোটি টাকার ইয়াবাসহ পাচারকারী আটক হলেও তার শতগুণ বেশি পাচার হয়ে যাচ্ছে। ফলে ইয়াবা পাচার থামছেই না।
মাত্র দুদিন আগে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা সদরে ৭ হাজার ইয়াবাসহ ধরা পড়ে শামসুল আলম (৫০) নামে এক পাচারকারী। জিজ্ঞাসাবাদে তার বিবরণেও ইয়াবা পাচারের নতুন কলা-কৌশল সম্পর্কে জানা যায়। পুলিশকে দেয়া তথ্যে শামসুল আলম বলেন, দীর্ঘ ৫-৬ বছর ধরে তিনি ইয়াবা পাচার করছেন। কিন্তু কৌশলের কারণে কোনো সময়ই ধরা পড়েননি। তবে এবার পেছনে থাকা লোকের কারণে তিনি ধরা পড়েছেন।
শামসুল আলম বলেন, আগে এক সময় কক্সবাজার থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে ইয়াবা পাচার করতেন তিনি। পরে তা পুলিশের নজরে আসায় কয়েকটি প্রাইভেট গাড়ি ধরা পড়ে। ফলে বিরতিহীন বাস সার্ভিসে ইয়াবা পাচার শুরু করি। তাও পুলিশ-র্যাব, বিজিবির নজরে আসে। বেশ কয়েকজন ইয়াবাসহ ধরাও পড়ে। এরপর গণপরিবহনে ইয়াবা পাচার করা হলেও সেগুলো তল্লাশির মুখ পড়ছে। ফলে এখন কৌশল পাল্টে গাড়ি ও সড়ক বদল করে ইয়াবা পাচার করছেন তিনি; যা পুলিশের হাতে ধরা পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সরাসরি ইয়াবা না নিয়ে গ্রামের ভেতরের সড়কগুলো দিয়ে টেম্পু বা সিএনজি অটোরিকশায় ইয়াবা পাচার করা হচ্ছে। সাতকানিয়া থেকে বাঁশখালী বাঁশবাড়িয়া থেকে চন্দনাইশ পটিয়াতে নেমে বোয়ালখালী সড়ক দিয়ে চট্টগ্রামে ইয়াবা আনা হচ্ছে। একইভাবে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কেও মিরসরাই, ফেনী ও কুমিল্লায় নেমে সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইয়াবা পাচার করা হচ্ছে। আর এতগুলো সড়কে পাহারা দেওয়া পুলিশের পক্ষে সম্ভবও নয় বলে নির্বিঘ্নে পাচার চলছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য দেয় শামসুল আলম।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, ইয়াবা পাচারে পুলিশ ও আনসারের বিপদগামী কিছু সদস্য জড়িত রয়েছে। যার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। কয়েকজন পুলিশ ও আনসার ইয়াবাসহ ধরাও পড়েছে। এদের বিরুদ্ধে আমরা বিভাগীয় পদক্ষেপ ও প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি। এ বিষয়ে কর্মরত সব পুলিশ সদস্যকে সতর্ক করা হয়েছে। তবুও বিপদগামী পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ওপর নজরদারি রয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ১০ মাসে চট্টগ্রামে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার হরা হয়। এরমধ্যে র্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্ধারকৃত ইয়াবার হিসাবও রয়েছে। এতে মামলা হয়েছে ১ হাজার ৩০০টিরও বেশি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (গোয়েন্দা) জিল্লুর রহমান বলেন, শামসুলকে আমরা পটিয়া থেকে গ্রেপ্তার করি। তার বাড়ি টেকনাফ উপজেলার মধ্যম হ্নীলা গ্রামে। এর আগে আরও কয়েকজন ইয়াবাসহ একইভাবে পটিয়া এলাকায় এসে আটক হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ইয়াবা পাচারের নতুন নতুন কৌশলের কথা জানা যাচ্ছে। এর আগে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের সামনে থেকে ৭ হাজার ইয়াবাসহ ৮ বছরের শিশু ও তার মা ধরা পড়ে। তাদের বাড়িও টেকনাফে।
জিল্লুর রহমান বলেন, শুধু চট্টগ্রামেই প্রতিদিন ইয়াবার দু-তিনটি চালান ধরা পড়ছে। তাতে ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকা বা কোনো কোনো সময় বড় চালানে কোটি টাকার ইয়াবাসহ পাচারকারী আটক হলেও তার শতগুণ বেশি পাচার হয়ে যাচ্ছে। ফলে ইয়াবা পাচার থামছেই না।