প্রধান বিচারপতি বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ফিরছেন কি ফিরছেন না, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছেই। তাঁর ছুটির মেয়াদ কাল ১০ই নভেম্বরে শেষ হয়ে যাবে। দায়িত্বশীল সূত্র বলেছে। তিনি তৃতীয় মেয়াদে ছুটির মেয়াদ আর বাড়াতে চান না। বরং দেশে ফিরতেই তাঁর বেশি আগ্রহ। যাওয়ার আগে প্রধান বিচারপতি তাঁর বাসভবনের ফটকে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।
পালিয়ে যাচ্ছেন না। তিনি আবার ফিরবেন। ১৩ই নভেম্বর দেশে ফিরতে চেয়ে তিনি চিঠি লিখেছেন। আশা করেছেন, তাঁকে যাতে বিমানবন্দরে প্রটোকল দেয়া হয়। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তিনি প্রটোকলের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চয়তা পাননি।
সব মিলিয়ে আগামী ৩১শে জানুয়ারিতে স্বাভাবিক অবসরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁর সময় কিভাবে কাটবে তা অনিশ্চিত। প্রধান বিচারপতির ফেরা বা না ফেরার বিষয়টি ফয়সালা না হতেই অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পৃথকভাবে বলেছেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের বিরুদ্ধে সরকার চলতি মাসেই রিভিউ পিটিশন দাখিল করবে। অনেকে স্মরণ করছেন যে, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এর আগে পরিষ্কার ঘোষণা দিয়েছিল যে, প্রধান বিচারপতির পদে বিচারপতি এস কে সিনহা বহাল থাকতে তাঁরা ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করাকে সঙ্গত মনে করেন না। এরপর অভিযোগ ওঠে যে, তাঁকে চাপ দিয়ে অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে ছুৃটিতে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল সুপ্রিম কোর্ট বারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবিধানিক প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি জয়নুল আবেদীন। তাঁর কথায়, আপিল বিভাগের বিচারপতিরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসতে চান না এই বক্তব্য অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সরকারের। যদি এ ধরনের বক্তব্য তারা দেন এবং বিচারপতিরা যদি বসতে না চান তাহলে এটি হবে সংবিধানের লঙ্ঘন।
উল্লেখ্য যে, সুপ্রিম কোর্ট এর আগে এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁরা এগারোটি অভিযোগের বিষয়ে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য জানতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তিনি পদত্যাগের কথা বলেছিলেন। কিন্তু পরে তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটির দরখাস্ত করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে। ওই বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছিল যে, আপিল বিভাগের বিচারকরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসতে চান না।
জ্যেষ্ঠ আইনবিদরা অবশ্য বলছেন, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের নন, তিনি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি। সুতরাং বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির যে অবস্থান সেটা আপিল বিভাগের একজন সদস্য থেকে স্বতন্ত্র। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসতে না চাওয়ার ফল একটিই হতে পারে যে, প্রধান বিচারপতিকে আপিল বিভাগের কোনো বেঞ্চে দেখতে না পাওয়া। হাইকোর্টে এক সদস্যের বেঞ্চ হলেও আপিল বিভাগে এর আগে কখনও এক সদস্যের বেঞ্চ হতে দেখা যায়নি। তবে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে জেনারেল এরশাদ আমলে সুপ্রিম কোর্ট ভিন্ন ধরনের একটি টানাপড়েন লক্ষ্য করেছিলেন। প্রধান বিচারপতি কামাল উদ্দিন হোসেনকে বয়স কমিয়ে এরশাদ অপসারণ করেছিলেন। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি তাঁর এক বক্তৃতায় উল্লেখ করেছিলেন। ওই ঘটনায় কামাল উদ্দিন হোসেনকে সরিয়ে এরশাদ সরকার বিচারপতি ড. মুনিমকে প্রধান বিচারপতি করেছিলেন। ওই সময়ে এর প্রতিবাদে দীর্ঘসময় ধরে সুপ্রিম কোর্ট বার নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতির কোর্ট বয়কট করেছিল।
উল্লেখ্য, অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিয়ার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ফুল বেঞ্চের সদস্যরা সম্প্রতি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এই বৈঠকের বিষয়ে বঙ্গভবনের বিবৃতি প্রকাশিত হলেও সুপ্রিম কোর্ট কোনো বিবৃতি দেননি। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ওই বৈঠককে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বলে বর্ণনা করেন। অবশ্য এর আগেও বিচার বিভাগীয় সম্মেলনসহ নানা উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিন্তু বঙ্গভবনে আপিল বিভাগের সব বিচারপতি গিয়ে আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় বিচারবিভাগীয় সম্মেলনে রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানানোর ঘটনা এই প্রথম বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, এর আগে আদালতের দীর্ঘ অবকাশের পরে যেদিন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে প্রথাগত করমর্দন অনুষ্ঠান হওয়ার তারিখ ধার্য ছিল, ঠিক তার আগের দিন প্রধান বিচারপতি ছুটির দরখাস্ত করেছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জয়নুল আবেদিন গতকাল বলেছেন, এখন আপিল বিভাগের বিচারপতিরা যদি প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার সঙ্গে বসতে না চান তাহলে তা সংবিধানের লঙ্ঘন এবং তাতে তাদের শপথ ভঙ্গ হবে। গতকাল দুপুরে সমিতির পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল ষড়যন্ত্র করে প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দিয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল সুপ্রিম কোর্ট বারকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি ষড়যন্ত্র করে আপিল বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে যেভাবে প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দিয়েছেন একইভাবে সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, কারণ বিচারপতিরা সংবিধানের বাইরের কেউ নন।
তিনি বলেন, এখন ঘনঘন বঙ্গভবনে বিচারপতিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাদের ডাল ভাত খাওয়ানো হয়। এটি অতীতে কখনও দেখিনি। জাতি জানতে চায় কি এমন ঘটনা ঘটেছে যে আলোচনা করার জন্য প্রেসিডেন্ট বারবার বিচারপতিদের আমন্ত্রণ জানান। জয়নুল আবেদিন বলেন, বারবার যারা বঙ্গভবনের দাওয়াতে যাচ্ছেন তাদের কিন্তু ভবিষ্যতে সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে বসে চিন্তা ভাবনা করতে হবে। আমরা এক সময় জানতে চাইব। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল বিচার বিভাগকে ধ্বংসের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তার কার্যকলাপ সংবিধানবহির্ভূত। সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সব মিলিয়ে আগামী ৩১শে জানুয়ারিতে স্বাভাবিক অবসরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁর সময় কিভাবে কাটবে তা অনিশ্চিত। প্রধান বিচারপতির ফেরা বা না ফেরার বিষয়টি ফয়সালা না হতেই অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পৃথকভাবে বলেছেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের বিরুদ্ধে সরকার চলতি মাসেই রিভিউ পিটিশন দাখিল করবে। অনেকে স্মরণ করছেন যে, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এর আগে পরিষ্কার ঘোষণা দিয়েছিল যে, প্রধান বিচারপতির পদে বিচারপতি এস কে সিনহা বহাল থাকতে তাঁরা ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করাকে সঙ্গত মনে করেন না। এরপর অভিযোগ ওঠে যে, তাঁকে চাপ দিয়ে অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে ছুৃটিতে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল সুপ্রিম কোর্ট বারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবিধানিক প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি জয়নুল আবেদীন। তাঁর কথায়, আপিল বিভাগের বিচারপতিরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসতে চান না এই বক্তব্য অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সরকারের। যদি এ ধরনের বক্তব্য তারা দেন এবং বিচারপতিরা যদি বসতে না চান তাহলে এটি হবে সংবিধানের লঙ্ঘন।
উল্লেখ্য যে, সুপ্রিম কোর্ট এর আগে এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁরা এগারোটি অভিযোগের বিষয়ে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য জানতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তিনি পদত্যাগের কথা বলেছিলেন। কিন্তু পরে তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটির দরখাস্ত করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে। ওই বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছিল যে, আপিল বিভাগের বিচারকরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসতে চান না।
জ্যেষ্ঠ আইনবিদরা অবশ্য বলছেন, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের নন, তিনি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি। সুতরাং বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির যে অবস্থান সেটা আপিল বিভাগের একজন সদস্য থেকে স্বতন্ত্র। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসতে না চাওয়ার ফল একটিই হতে পারে যে, প্রধান বিচারপতিকে আপিল বিভাগের কোনো বেঞ্চে দেখতে না পাওয়া। হাইকোর্টে এক সদস্যের বেঞ্চ হলেও আপিল বিভাগে এর আগে কখনও এক সদস্যের বেঞ্চ হতে দেখা যায়নি। তবে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে জেনারেল এরশাদ আমলে সুপ্রিম কোর্ট ভিন্ন ধরনের একটি টানাপড়েন লক্ষ্য করেছিলেন। প্রধান বিচারপতি কামাল উদ্দিন হোসেনকে বয়স কমিয়ে এরশাদ অপসারণ করেছিলেন। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি তাঁর এক বক্তৃতায় উল্লেখ করেছিলেন। ওই ঘটনায় কামাল উদ্দিন হোসেনকে সরিয়ে এরশাদ সরকার বিচারপতি ড. মুনিমকে প্রধান বিচারপতি করেছিলেন। ওই সময়ে এর প্রতিবাদে দীর্ঘসময় ধরে সুপ্রিম কোর্ট বার নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতির কোর্ট বয়কট করেছিল।
উল্লেখ্য, অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিয়ার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ফুল বেঞ্চের সদস্যরা সম্প্রতি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এই বৈঠকের বিষয়ে বঙ্গভবনের বিবৃতি প্রকাশিত হলেও সুপ্রিম কোর্ট কোনো বিবৃতি দেননি। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ওই বৈঠককে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বলে বর্ণনা করেন। অবশ্য এর আগেও বিচার বিভাগীয় সম্মেলনসহ নানা উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিন্তু বঙ্গভবনে আপিল বিভাগের সব বিচারপতি গিয়ে আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় বিচারবিভাগীয় সম্মেলনে রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানানোর ঘটনা এই প্রথম বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, এর আগে আদালতের দীর্ঘ অবকাশের পরে যেদিন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে প্রথাগত করমর্দন অনুষ্ঠান হওয়ার তারিখ ধার্য ছিল, ঠিক তার আগের দিন প্রধান বিচারপতি ছুটির দরখাস্ত করেছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জয়নুল আবেদিন গতকাল বলেছেন, এখন আপিল বিভাগের বিচারপতিরা যদি প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার সঙ্গে বসতে না চান তাহলে তা সংবিধানের লঙ্ঘন এবং তাতে তাদের শপথ ভঙ্গ হবে। গতকাল দুপুরে সমিতির পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল ষড়যন্ত্র করে প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দিয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল সুপ্রিম কোর্ট বারকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি ষড়যন্ত্র করে আপিল বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে যেভাবে প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দিয়েছেন একইভাবে সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, কারণ বিচারপতিরা সংবিধানের বাইরের কেউ নন।
তিনি বলেন, এখন ঘনঘন বঙ্গভবনে বিচারপতিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাদের ডাল ভাত খাওয়ানো হয়। এটি অতীতে কখনও দেখিনি। জাতি জানতে চায় কি এমন ঘটনা ঘটেছে যে আলোচনা করার জন্য প্রেসিডেন্ট বারবার বিচারপতিদের আমন্ত্রণ জানান। জয়নুল আবেদিন বলেন, বারবার যারা বঙ্গভবনের দাওয়াতে যাচ্ছেন তাদের কিন্তু ভবিষ্যতে সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে বসে চিন্তা ভাবনা করতে হবে। আমরা এক সময় জানতে চাইব। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল বিচার বিভাগকে ধ্বংসের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তার কার্যকলাপ সংবিধানবহির্ভূত। সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।