ইসি সূত্রে জানা গেছে নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধনের জন্য প্রায় ২০০ সংস্থা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে। এর মধ্য থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন সংস্থাগুলোকে নিবন্ধন দেবে কমিশন।
এর আগে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা ছিল ১২০টি। এসব সংস্থা ২০১১ সালে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায়। ওই নিবন্ধনের মেয়াদ ছিল চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। কমিশন নতুন করে নিবন্ধন দেয়ার জন্য আগ্রহী সংস্থাসমূহের কাছে গত ২৩ অক্টোবর দরখাস্ত আহ্বান করে। এছাড়া এ বিষয়ে আগের নীতিমালা সংশোধন করে গত ২৬ সেপ্টেম্বর নতুন নীতিমালাও প্রণয়ন করা হয়। আগ্রহী সংস্থাগুলো আবেদন করার সময় গতকাল মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) শেষ হয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, এবার নামসর্বস্ব কোনো পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এজন্য নীতিমালায় কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। এ নীতিমালা অনুসারে গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে আসছে; পাশাপাশি যাদের নিবন্ধিত গঠনতন্ত্রের মধ্যে এসব বিষয়সহ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে তথ্য প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণের অঙ্গীকার রয়েছে শুধু সেসব বেসরকারি সংস্থাই নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হওয়ায় অগ্রাধিকার পাবে।
এছাড়া নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন বা আছেন কিংবা নিবন্ধন পাওয়ার জন্য আবেদন করা সময়ের মধ্যে কোনো নির্বাচনের প্রার্থী হতে আগ্রহী ব্যক্তির সংস্থাও এবার নিবন্ধন পাবে না বলে জানান তারা।
নবম সংসদ নির্বাচনের আগে আরপিও-১৯৭২ সংশোধন করে প্রথমবারের মতো নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সে সময় প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। একই সঙ্গে পর্যবেক্ষক নীতিমালাও তৈরি করা হয়। এরপর ২০১০ সালে নীতিমালা সংশোধন করে পর্যবেক্ষকদের নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়িয়ে পাঁচ বছর করে ইসি।