বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক ও ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ডি ওয়াটকিন্স জাতিসংঘ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সব দলের অংশগ্রহণে একটি নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার তিনি এ তথ্য জানিয়ে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন পরিচালনা দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্বশীল ও সক্রিয় হতে হবে।
বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদানে ইউএনডিপির আগ্রহ প্রকাশ
তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন ও আর্থ-সামাজিক বৈষম্য নিরসনসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদানে ইউএনডিপি পক্ষ থেকে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক ও ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ডি ওয়াটকিন্স বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহের কথা জানান।
এ সময় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতীয় সংসদ সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। সরকারের নির্বাহী বিভাগ সংসদের কাছে এবং সংসদ জনগণের কাছে জবাবদিহি করে থাকে। মূলতঃ জনগণের জন্যই সরকার এবং প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ। এরূপে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ- নির্বাহী বিভাগ, সংসদ ও বিচার বিভাগের মাঝে ভারসাম্য বজায় রেখেই জনগণের স্বার্থে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়।
ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সাথে গবেষণা ও প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় তারা গণতন্ত্র, সংবিধান, সংসদীয় কার্যক্রম, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও ইউএনডিপি’র কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, ১৯৭১ এ বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতা লাভের এক বছরের মধ্যেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে যুগোপযোগী এক আধুনিক সংবিধান উপহার দেন। এ সময় তিনি ৭২-এর মূল সংবিধানের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ করেন।
রবার্ট ডি ওয়াটকিন্স ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলি সফলভাবে আয়োজনের জন্য স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ এসেম্বলি আয়োজনে বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর নিকট সক্ষমতার অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
আসন্ন ৬৩তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্স ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে ওয়াটকিন্স এর সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
স্পিকার বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের যথেষ্ঠ অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশ এখন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে। সংসদ-সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করার লক্ষে ইউএনডিপি ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ যে সমঝোতায় পৌঁছাতে যাচ্ছে তা সংসদীয় গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করবে বলে স্পিকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।