বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিরতণ শেষে বালুখালী ক্যাম্পের দিকে যাওয়া শুরু করছিলেন । হঠাৎ তার চোখে পরে কয়েক মাস বয়সী ছোট্ট একটি শিশুর কান্না। খানিক দাঁড়িয়ে একপর্যায়ে শিশুটিকে কোলে নিয়ে আদর করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। শিশুটির নাম মোবারক।
এরপর উপস্থিত বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও স্থানীয় নেতাদের রোহিঙ্গাদের সার্বিক সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়ে বালুখালী ক্যাম্পের দিকে রওনা হন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকাটাইমসকে একথা নিশ্চিত করেছেন।
আমান উল্লাহ আমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ত্রাণ দেয়ার পর ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) যখন চলে যাবেন তখন দেখলেন ছোট্ট একটা বাচ্চাকে অনেক কান্না করছে। পরে তিনি একটু সামনে যেয়ে বাচ্চাটাকে কোলে নেন। বাচ্চাটাকে দেখে মনে হচ্ছিলো ও কোলে আসতে চাচ্ছে। সত্যি দৃশ্যটা মনে রাখার মতো ছিল।”
ব্যাপক লোক সমাগম ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ না থাকায় খালেদা জিয়ার মইনারঘর এলাকায় ত্রাণ বিতরণের সময় তার বক্তব্য শুনতে এবং ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম দেখতে গণমাধ্যমকর্মীদের বেশ বেগ পেতে হয়।
পুরো সময় খালেদা জিয়ার চারপাশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতারা ছিলেন। তার প্রেস উইং সদস্যসহ ব্যক্তিগত কর্মকর্তারাও সামনের দিকে ছিলেন
বেলা ১টার কিছু পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অত্যাচারের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দেখতে ও ত্রাণ বিরতণ করতে উখিয়া আসেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ত্রাণ বিতরণের প্রথম ক্যাম্পে আসেন বেলা একটার দিকে। নেতাকর্মী ও উপস্থিত রোহিঙ্গাদের ভিড় ঠেলে নির্ধারিত জায়গায় যেতে দশ মিনিটের মতো সময় লাগে।
পরে খালেদা জিয়া বেশ কয়েকজন বয়স্ক ও একাধিক ছোট্ট বাচ্চাদের মাঝে ত্রাণ তুলে দেন। খালেদা জিয়া ফিরে যাওয়ার পর সেখানে রাখা বাকি ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ত্রাণ নেয়ার সময় রোহিঙ্গা শিশুরা হাত তুলে খালেদা জিয়াকে সালাম দেন। পরে তাদের হাতে ত্রাণ তুলে দেন তিনি।
বয়স্কদের হাতে ত্রাণ তুলে দেয়ার সময় খালেদা জিয়া তাদের ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানান বলেও জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।