তিন লাখ ৬৫ হাজার রোহিঙ্গার নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে মিয়ানমারে বল প্রয়োগে বাস্তুচ্যুত নাগরিক যারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। নভেম্বরের মধ্যে অবশিষ্টদের নিবন্ধন শেষ করতে পারবে বলে পাসপোর্ট অধিদপ্তর আশা করছে। ইতোমধ্যে ২৩ হাজার ৫৯০ জন এতিম শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি। এর মধ্যে চার হাজার শিশু রয়েছে যাদের বাবা-মা কেউ নেই।
রবিবার সচিবালয়ের সম্মেলনকক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিবের সভাপতিত্বে রোহিঙ্গা বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসচিব, পরিসংখ্যান সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইতোমধ্যে এক লাখ ৩৩ হাজার পরিবারের শেড নির্মাণ করা হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত এক লাখ ৫০ হাজার পরিবারের শেড নির্মাণ সম্পন্ন হবে।
সভায় আরও জানানো হয়, ২০ ব্লকে বিভক্ত ক্যাম্পের প্রত্যেক ব্লকে একটি করে কমিউনিটি হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, ক্যাম্পে প্রতি চার ব্লকের জন্য একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বর্তমানে পুরো ক্যাম্প এলাকা সার্বক্ষনিক নজরদারিতে রাখছে।
সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা কর্তৃক এক বাংলাদেশি হত্যা প্রসঙ্গে বলা হয়, ইতোমধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের জন্য ক্যাম্পে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যুতের প্রত্যেক খুঁটিতে একটি করে লাইট স্থাপন ও একটি পর একটি খুঁটিতে সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য সভায় সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।
সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায় মায়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের খোলা আকাশের নিচ থেকে শেডে জায়গা দেয়া হয়েছে। তাদের জন্য মানবিক সব ধরনের সহযোগিতা দিয়েছে বাংলাদেশ। অতি দ্রুত এসব নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মন্ত্রী মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান।