প্রধানমন্ত্রী দারিদ্র দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান শত্রু উল্লেখ করে এই অঞ্চলের সব দেশকে দারিদ্র্য নির্মূলে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ইয়াসুজর বিদায় সক্ষাৎকালে তিনি এই আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান শত্রু। তাই এই অঞ্চলের দারিদ্র্য দূর করতে আমাদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব সাংবাদিকদের ব্রিফিং এই কথা জানান।
প্রেস সচিব জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শ্রীলঙ্কার বিদায়ী হাইকমিশনারের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় তাঁরা দুই দেশের বর্তমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য তাঁর সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশের উন্নয়নে সরকার ব্যবসায়ীদের আরও বেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করছে।
দক্ষিণ এশিয়াকে একটি বড় বাজার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই অঞ্চলের আরো বেশি অগ্রগতির জন্য আমরা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারগুলোর দিকে ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি দিতে বলব।
এ সময় শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশকে একটি তৈরিশিল্প কেন্দ্র।
দেশের শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থানের জন্য তাঁর সরকারের সারাদেশে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার উদ্যোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীন, ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের শিল্প স্থাপনের জন্য এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে সরকার জায়গা বরাদ্দ করেছে।
এ সময় শ্রীলংকার বিনিয়োগকারীদেরও এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারাও এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বড় রকমের বিনিয়োগ করে সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধার সুযোগ নিতে পারে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এবং শ্রীলংকার হাইকমিশনার উভয়েই পর্যটন খাতে যৌথ সহযোগিতার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
শেখ হাসিনা এ সময় শ্রীলংকার শিক্ষা ব্যবস্থারও ভূয়সী প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।