পাঁচ বছরের শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে আত্মহত্যা করতে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছিলেন মা নারায়ণগঞ্জে। কিন্তু ট্রেনের নিচে চাপা পড়ে সন্তান ফাহিম মারা গেলেও বেঁচে যান মা ফাতেমা বেগম।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার ইসদাইর হক বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার ইসদাইর হক বাজার এলাকায় কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলন্ত ট্রেনের নিচে ছেলে ফাহিমকে (৫) নিয়ে ঝাঁপ দিয়েছিলেন মা ফাতেমা। এসময় ট্রেনের নিচে দ্বিখণ্ডিত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ফাহিম। ফাতেমাকে গুরুত্বর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে শহরের খানপুরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ও পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত ফাহিম ইসদাইর এলাকার ভ্যানচালক বাদশা মিয়ার ছেলে। আহত ফাতেমা বাদশা মিয়ার তৃতীয় স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, সংসারে অভাব-অনটন নিয়ে বাদশা মিয়ার সঙ্গে ফাতেমার প্রত্যহ ঝগড়া লেগে থাকত। বাদশা মিয়া তাদের ঠিকমতো ভরণপোষণ দিত না। যে কারণে অভিমানে ফাতেমা তার পাঁচ বছর বয়সী শিশুকে নিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়। ট্রেনের ধাক্কায় ফাতেমা ছিটকে রেললাইনের পাশে পড়লেও ছেলে ফাহিম ট্রেনে কাটা পড়ে দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।
ফতুল্লা রেল স্টেশনের মাস্টার শাহাদাত জানান, শুনেছি হক বাজার এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে একজন নিহত হয়েছে। আর অপর একজন আহত হয়েছে। তবে কেউ কোন খবর আমাদের দেয়নি।
নারায়ণগঞ্জ শহরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম জানান, ট্রেনে ধাক্কা খেয়ে ফাতেমা নামে এক নারী আহত অবস্থায় এসেছিল। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে।