সদ্য আসা রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের রাখাইন থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের অনুপ্রবেশ কিছুতেই থামছেনা। সেখানে কাজ কর্ম না থাকায় অর্ধহারে অনাহারে থাকার চেষ্টা করলেও অবশেষে ক্ষুধার জ্বালায় এপারে আসতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে শাহপরীরদ্বীপের দক্ষিণপাড়া, জালিয়াপাড়া, খুরেরমুখসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অন্তত হাজার খানেক রোহিঙ্গা নারী পুরুষ ও শিশু এপারে প্রবেশ করে। এদিকে, টেকনাফ থানার এসআই জাহিদুল হক জানান, সোমবারের আগের দুই দিন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ মোটেই ছিলনা। সোমবার থেকে ফের রোহিঙ্গা খন্ড খন্ড ভাবে অনুপ্রবেশ করছে। সোমবার আড়াই শতাধিক রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ হলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই প্রবেশের সংখ্যা ৬০০ পার হয়েছে এবং এসব সদ্য অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের তালিভুক্ত করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের ধারণা, মঙ্গলবার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ হাজারের অধিক হতে পারে। নতুন করে প্রবেশ করা এসব রোহিঙ্গাদেরকে খাদ্য দ্রব্য দিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জানান, সোমবার ভোরে রাখাইনের মগনী পাড়া এলাকা থেকে তারা ছোট নৌকায় করে এপারে আসে। এরা মংডু সিকদার পাড়া, নয়াপাড়া ও বুচিডং এলাকা থেকে এদেশে আশ্রয়ের জন্য পালিয়ে আসে। প্রায় মাসখানেক আগে এরা গ্রাম থেকে বের হয়ে এপাড়া ওপাড়া ঘুরে অবশেষে খাদ্য না থাকায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন বলে জানিয়েছেন। বুচিডং মইন্না পাড়া এলাকার আমীর হোসেন জানান, মিয়ানমার সেনারা রোহিঙ্গা মুসলিমদের গ্রাম থেকে বের হয়ে যেতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারা কোথাও না যাওয়ায় গ্রামের দুইটি বাড়িতে আগুন দেয় এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরে প্রাণ বাঁচাতে গ্রামের সবাই পালাতে থাকে।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |