বায়োমেট্রিক নিবন্ধন ২ লাখ ছাড়িয়েছে মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নাগরিকদের।
বুধবার পর্যন্ত ২ লাখ ১২ হাজার ১৫৮ জন নিবন্ধিত হয়েছে। উখিয়া ও টেকনাফের ৬টি নিবন্ধন কেন্দ্রে এ নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে।
পাসপোর্ট অ্যান্ড ইমিগ্রেশনের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন কার্যক্রম গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা এ কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করছেন।
পাসপোর্ট অ্যান্ড ইমিগ্রেশনের উপ-পরিচালক আবু নোমান মোহাম্মদ জাগির সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘আগের তুলনায় নিবন্ধন কেন্দ্রে ভীড় অনেক বেড়েছে। প্রথমদিকে নিবন্ধনের আগ্রহ খুব বেশি দেখা না গেলেও এখন প্রচুর রোহিঙ্গা নিবন্ধনের জন্য আসছেন। নিবন্ধন কর্মীদের দিনভর ছবি তুলে ও তাদের নাম-ঠিকানা লিপিবদ্ধ করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।’
সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কুতুপালং ক্যাম্পে নিবন্ধন কেন্দ্রে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গারা। সেনাবাহিনীর সদস্যরা রোহিঙ্গাদের ছবি তুলছেন, তাদের নাম-ঠিকানা লিপিবদ্ধ করছেন এবং একইসাথে তাদেরকে একটি করে ছবি সম্বলিত নিবন্ধন কার্ড ধরিয়ে দিচ্ছেন। অনেকটা ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মত।
লাইনে দাঁড়ানো সামিনা আক্তার তার দুই মেয়েকে নিয়ে নিবন্ধন করতে এসেছেন। দাঁড়িয়ে আছেন দীর্ঘক্ষণ। তিনি জানান, ‘নিবন্ধন না হলে নাকি কোন ত্রাণ পাবো না। তাই নিবন্ধনের কথা শুনে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে এসেছি। বাংলাদেশ সরকার আমাদের খাবার দিয়েছে, ঘর দিয়েছে, ওষুধ দিয়েছে, আমরা খুশি।’
নিবন্ধন কার্ড হাতে নিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হচ্ছিলেন কুতুপালং ক্যাম্পের ৫-সি জোনের সামসুন্নাহার। তিনি জানান, ‘নিবন্ধন করলাম, কার্ডও দিলো। এখন আর সাহায্য পেতে কোন সমস্যা হবে না।’
কুতুপালংয়ের দুইটি নিবন্ধন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পাসপোর্ট অ্যান্ড ইমিগ্রেশনের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান গনমাধ্যমকে জানান, ‘নিবন্ধন কার্যক্রমের গতি অনেক বেড়েছে। গত সপ্তাহে দৈনিক নিবন্ধনের গড় হার ছিলো ১০০০ থেকে ১১০০ এখন তা ১৩ হাজার পেরিয়েছে। যে হারে নিবন্ধন হচ্ছে তাতে আগামী ২ মাসের মধ্যে সকল রোহিঙ্গাকে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা সম্ভব হবে বলে আশা করি।’