ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমআবার একজন গ্রাহক একটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে সর্বোচ্চ ২০টি সিম রাখতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে টেলিযোগাযোগ খাতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে।ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় উপস্থিতি ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তারানা হালিম বলেন, একটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে সর্বোচ্চ পাঁচটি সিম বায়োমেট্টিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের সীমাবদ্ধতা দূর করে আগের মতো ২০টি সিম নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এর ফলে একজন গ্রাহক তার এনআইডির বিপরীতে এক বা একাধিক অপারেটরের সব মিলিয়ে ২০টি সিম রাখতে পারবেন।
২০১৫ সালে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ২০টি মোবাইল সিম রাখার সীমা বেঁধে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২০১৬ সালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে ২০টি সিম বায়োমেট্টিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের সুযোগের পরিবর্তে পাঁচটিতে কমিয়ে আনার ঘোষণা দেওয়া হয়।
গ্রাহকদের সতর্ক করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রাহকদের মনে রাখতে হবে, এখন বিটিআরসির বায়োমেট্রিক সেন্ট্রাল মনিটরিং সিস্টেম আছে। বিটিআরসি কিন্তু সুনির্দিষ্ট বলে দিতে পারছে, কোন অপারেটরের কতটি সিম গ্রাহকের আছে বা তিনি নিয়েছেন। কেউ যদি নিজের সিম অন্যর কাছে বিক্রি করে তাহলে ধরা পড়ে যাবে।’
২০টির বেশি সিম থাকলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে খুব দ্রুত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বসবেন তারা। তারপর ২০টির অতিরিক্ত সিমের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে সিদ্ধান্ত হবে। আপনার এতগুলো সিম আছে কোনটা রাখতে চান- এ অপশন গ্রাহকদের দেব কি না তাও ভেবে দেখা হবে।’
তারানা হালিম বলেন, ‘এই অপশন একবার দিয়ে দেখেছি, গ্রাহক কষ্ট করে টেক্সটও করে না, ডিঅ্যাকটিভও করে না। কাজেই আমাদের একটি মেকানিজম বের করতে হবে।’