ভান্ডারী গলির মকবুল জমিদারের ২য় তলার ভাড়াঘর হতে আরেক আসামী মোঃ রফিক’দ্বয়কে ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার সহ হাতে নাতে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বন্দর নগরী চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন খ্রিষ্টান সেমিট্রে রোডস্থ বশর মাকের্টের মেসার্স জব্বর ষ্টোর সামনে হতে আসামী মোঃ আতিকুল আলম তারেক এবং তাহার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পাঁচলাইশ থানাধীন বিবিরহাট।
গ্রেফতারকৃত মোঃ আতিকুল আলম তারেক(২২), পিতা-মোঃ নুরুল ইসলাম, মাতা-ছকিনা খাতুন, সাং-মহেশ খালীয়াপাড়া, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বর্তমানে- আতুরার ডিপো তুলা কোম্পানী, এম এ সবুর আবাসিক, থানা-বায়েজিদ বোস্তামী, জেলা-চট্টগ্রাম, মোঃ রফিক (২৭), পিতা-মোঃ ইসমাইল, মাতা- মোছাঃ রাজিয়া বেগম, সাং-দক্ষিণচর, সাহাভিকারী, পোষ্ট-জমাদার বাজার, থানা-সোনাগাজী, জেলা-ফেনী বর্তমানে-মকবুল জমিদারের বাড়ী, ২য় তলা, রুম নং-৩, ভান্ডারী গলি, বিবিরহাট, থানা-পাঁচলাইশ, জেলা-চট্টগ্রাম বলে জানা যায়।
১৭ অক্টোবর দিবাগত রাত ০১.১৫ ঘটিকায় চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (পশ্চিম) বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব এএএম হুমায়ুন কবীর এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোহাম্মদ মহসীন, পিপিএম, পুলিশ পরিদর্শক জনাব কামরুজ্জামান, এসআই/আবদুর রব, এসআই/শিবু প্রসাদ চন্দ্র সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাঁচলাইশ থানাধীন খ্রিষ্টান সেমিট্রে রোডস্থ বশর মাকের্টের মেসার্স জব্বর ষ্টোরের সামনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ আতিকুল আলম তারেক’কে ১০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই তারিখ রাত ০২.০৫ ঘটিকায় পাঁচলাইশ থানাধীন বিবিরহাট, ভান্ডারী গলির মকবুল জমিদারের ২য় তলার ভাড়াঘর হতে আসামী মোঃ রফিক’কে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ সর্বমোট ২০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে তরিকুল ইসলাম তারেক সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির এলএলবি ৭ম সেমিস্টারের ছাত্র বলে জানায় পুলিশ।তার পিতা নুরুল ইসলামের টেকনাফে একটি পেট্রোল পাম্প, একটি অটোরাইস মিল, সারের ডিলার ও ১০/১২টি ভাড়া দোকান আছে।তার পিতা অর্থশালী ব্যক্তি হলেও তাহার ছোট মেয়ের সাথে টেকনাফ মৌলভী পাড়ার একজন মাদক ব্যবসায়ী ফজর আলীর সহিত বিবাহ দেন। ফজর আলী ডিবি, সিএমপি কর্তৃক ইয়াবা সহ আটক হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। তার নামে একাধিক ইয়াবা মামলাও আছে।
ফজর আলীর ছোট ভাই মোহাম্মদ আলীও একজন কুখ্যাত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার নামেও একাধিক ইয়াবা মামলা আছে।
পুলিশ জানায়, তারেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেদের সাথে ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলে। আসামী তারেক তাহার ছোট দুলাভাই ও তাহার আত্মীয় স্বজনের হাত ধরে ইয়াবা ব্যবসায় আসে। বিভিন্ন এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেদের সাথে ভাল সম্পর্ক থাকায় খুব সহজেই ইয়াবা বিক্রি করতে পারে। আসামী তারেক টেকনাফ থেকে তাহার দুলাভাই ফজর আলী এবং নিজেই বিভিন্ন মাধ্যমে ইয়াবা ট্যাবলেট চট্টগ্রাম শহরে এনে কোমলমতি ছাত্রদের নিকট বিক্রি করে বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।