ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) সতর্ক হয়ে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন। বুধবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে তারা এই পরামর্শ দেন বলে জানা গেছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতারা সিইসির উদ্দেশে বলেছেন, আপনার বক্তব্য ভুলভাবে ব্যাখ্যা হতে পারে। এগুলো মাথায় রেখে কথা বলবেন। সজাগ ও সতর্ক থাকবেন।
গত রবিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় বিএনপি। সংলাপের সূচনা বক্তব্যে সিইসি কেএম নুরুল হুদা বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়। তাতে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যুক্ত হন। এর মধ্য দিয়ে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে।’ এছাড়া জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভূয়সী প্রশংসা করেন সিইসি।
সিইসির এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি এই বক্তব্যের কারণে সিইসির সঙ্গে তার দলের সংলাপ বর্জন করেন। তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ দলের শীর্ষ নেতারা একটাকে সিইসির ‘কৌশল’ হিসেবে দেখছেন।
সূত্র জানায়, নির্বাচনের প্রাক্কালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের অপপ্রচার, ভুয়া খবর প্রচার করা হতে পারে বলে সংলাপে আশঙ্কা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এসব বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য কমিশনের প্রতি তারা আহ্বান জানান।
জবাবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিষয়টিতে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দেয়া হয়।
বেলা ১১টায় শুরু হয়ে সংলাপ চলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সংলাপ শেষে ওবায়দুল কাদের জানান, আওয়ামী লীগের ১১ দফা প্রস্তাব সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনাররা ইতিবাচক। তিনি বলেন, আমাদের দলের পক্ষ থেকে যে ১১ দফা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে এ সম্পর্কে প্রত্যেক নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, এটা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব বলে মনে করি না। এই প্রস্তাবগুলো নিরপেক্ষ।