ফেসবুক গত বছর মার্কিন নির্বাচনের সময় অসত্য তথ্য প্রচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাশিয়ার কয়েক হাজার পোস্ট সরিয়ে নিয়েছিল । ফেসবুক বলেছিল, এক কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর কাছে রাশিয়ার বিজ্ঞাপন পৌঁছেছিল। কিন্তু কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল মিডিয়া গবেষক জোনাথন অলব্রাইট তার এক গবেষণায় দাবি করেছেন, ফেসবুকের তথ্যের চেয়ে দ্বিগুণ বা তার চেয়ে বেশি মানুষের কাছে এই তথ্য পৌঁছেছিল।
ফেসবুকের তথ্য বিশ্লেষণ টুল ব্যবহার করে রাশিয়ার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিয়ে গত সপ্তাহে একটি গবেষণা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার অলব্রাইট ওয়াশিংটন পোস্টকে জানান, ফেসবুকে প্রথম দিকে যত ব্যবহারকারীর তথ্য পৌঁছে ছিল বলে প্রকাশ করেছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষের কাছে এই তথ্য পৌঁছেছিল বলে তিনি আবিষ্কার করেছেন।
এই তথ্য তাকে অন্তত রাশিয়ার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের বিষয়ে কিছু ধাঁধার পুনর্গঠন করতে সহায়তা করেছে।
তিনি বলেন, ‘সবকিছু নয়, তবে এটি আমাদের কিছু বিষয়ে ধারণা দিয়েছে।’
ফেসবুক নিশ্চিত করেছিল যে, পোস্টগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছিল এর কারণ হচ্ছে, কোম্পানি বিশ্লেষণ টুল ক্রাউড ট্যাঙ্গলে সামান্য ত্রুটি ছিল। যা সমাধান করা হয়েছে।
ফেসবুকের মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন বলেন, ‘ক্রাউড ট্যাঙ্গলে আমরা কিছু বাগ চিহ্নিত করি এবং এর সমাধান করি। এই কারণে নিষ্ক্রিয় ফেসবুক পেজের ক্যাশে থাকা তথ্য গ্রাহকরা দেখতে পেত।’
ফেসবুকের পাবলিক পোস্ট মুছে ফেলা নিয়ে একটি প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। রাশিয়ার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ নিয়ে সম্ভাব্য প্রমাণ মুছে ফেলায় ফেসবুক দায়ী কিনা। কারণ রাশিয়ার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ নিয়ে ব্যাপক তদন্তের ক্ষেত্রে এর ভূমিকা ছিল।
অলব্রাইট বিজনেস ইনসাইডারকে বলছেন, ‘কারণ এটি পরিষ্কারভাবে একটি বৈধ এবং আসন্ন বিচার সংক্রান্ত বিষয়। আমি এই পর্যায়ে এসে বিষয়টি জটিলভাবে বিবেচনা করছি না।’