সবজির দাম তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে আমতলী ও তালতলী উপজেলায় । অতিবৃষ্টিতে ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় সবজির গাছ পচে গেছে। চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়ায় বাজারে সবজির প্রচুর সংকট দেখা দিয়েছে। এ সুবাদে ব্যবসায়ীরা তিনগুণ দামে সবজি বিক্রি করছে। ক্রেতারা কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। সবজি চাষিদের সর্বনাশ। আমতলী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমতলী ও তালতলী উপজেলায় এ বছরে সবজির লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭৫০ হেক্টর। বছরের শুরুতে সবজির ভালো ফলন হয়েছিল। দামও ছিল ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে। কিন্তু সামপ্রতিক অতিবর্ষণে জলাবদ্ধতার কারণে সবজি ক্ষেত পচে গেছে। তেমন ফসল পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে সবজির সংকট ও উত্তরাঞ্চল থেকে তেমন সবজি না আসায় দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জলাবদ্ধতায় সবজি ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় গাছ পচে যাওয়ায় চাষিদের ব্যাপক সর্বনাশ হয়েছে। আমতলীর কাউনিয়া গ্রামের কৃষক জামাল হোসেন জানান, ত্রিশ হাজার টাকা খরচ করে ৬৪ শতাংশ জমিতে সবজি চাষ করেছিলাম। কিন্তু বৃষ্টিতে ক্ষেতের সব গাছ পচে গেছে। তিনি আরো জানান এ বছর ৩০ হাজার টাকাই লোকসান।
গতকাল আমতলী বাঁধঘাট ও তালুকদার বাজার অফিস বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামরিচ ৩৫০, শিম-২০০, লাল শাক ৭০-৮০, করলা ৬০-৭০, ঢেড়স ৬০-৭০, মিনা ৫০-৬০, বরবটি ৫০-৬০, মিষ্টি কুমড়া ৩৫-৪০, পটোল ৫০-৬০, রেহা ৪০-৫০ ও মুলা ৫০-৫৫ টাকা কেজি এবং এক কেজি ওজনের ছোট লাউ ৬০-৭০, দের কেজি ওজনের বড় লাউ ৯০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব সবজি ১৫ দিন পূর্বেও তিনভাগের একভাগ দামে বিক্রি হয়েছে। আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম বদরুল আলম জানান, সামপ্রতিক বৃষ্টির পানিতে সবজির ক্ষেত তলিয়ে গাছ পচে গেছে। এতে সবজির উৎপাদন খুবই কম। ফলে সবজির সংকট দেখা দিয়েছে।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |