ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে ১০ মহররম পবিত্র আশুরা উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে । শনিবার বাদ মাগরিব ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক মো. মোজাহারুল মান্নান।
আশুরার তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন ঢাকার দক্ষিণখানস্থ জামিয়া মাদানিয়ার মুহতামিম শায়খুল হাদিস আল্লামা মনিরুজ্জামান রাব্বানী ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
প্রায় এক হাজার ৩৩৫ বছর আগের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেইন (রা.) কারবালা প্রান্তরে শহীদ হন।
১০ মহরম হজরত ইমাম হোসেইন (রা.) এবং তাঁর পরিবার ও অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদের তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। এ ঘটনা স্মরণ করে বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে তাঁদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে।
কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা ও পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী সবাইকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা জোগায়।
এছাড়া ১০ মহররম আশুরার দিন মহান আল্লাহ তায়ালা পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং আবার এদিন কেয়ামত ঘটাবেন। এর বাইরে এদিন হজরত ইব্রাহিম (আ.) নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে রক্ষা পেয়েছেন, হজরত ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি পান। এ রকম অসংখ্য ঘটনায় তাৎপর্যমণ্ডিত এ দিনটি মুসলিম সম্প্রদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করে থাকে।