মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ বন্দরনগরীর কোতোয়ালি থানার ফিরিঙ্গি বাজার ও নিউ মার্কেট মোড় থেকে সোমবার রাতে আট হাজার ২০০ ইয়াবাসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান।
গ্রেপ্তার রোহিঙ্গা যুবক রশিদ আহমেদ (২৫) টেকনাফ নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা; তার শরণার্থী নম্বর ৫৫৬০১।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- ইয়াসমিন আক্তার (২১), নুরুল আলম (৩৩), জামাল হোসেন (২৬) এবং মো. হালিম (৩২)। তারা সবাই টেকনাফের বাসিন্দা।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শামীম আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আগে থেকে খবর পেয়ে আলাদা অভিযানে ফিরিঙ্গি বাজার এলাকা থেকে রোহিঙ্গা যুবক রশিদ ও ইয়াসমিনকে দুই হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে নিউমার্কেট এলাকা থেকে অন্য তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তাররা সবাই একই চক্রের সদস্য বলে জানান উপ-পরিচালক শামীম।
অভিযানে থাকা অধিদপ্তরের পরিদর্শক তপন কান্তি শর্মা জানান, গ্রেপ্তারদের মধ্যে রোহিঙ্গা যুবক রশিদ ছাড়া অন্যরা সবাই ইয়াবাগুলো পেটের ভেতরে করে নিয়ে এসেছিল। তারা ইয়াবা নিয়ে ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল।
তিনি বলেন, “রশিদ ও ইয়াসমিনকে গ্রেপ্তারের পর তারা জানায়, এই চক্রের আরও তিন সদস্য ইয়াবা নিয়ে ঢাকা যাবে। তখন নিউ মার্কেট এলাকায় আমরা ওৎ পেতে থাকি।
“রেলস্টেশনে যাওয়ার পথে অন্য তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ছয় হাজার ২০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।”
পরিদর্শক তপন বলেন, টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম আসার পর রাতে তূর্ণা নিশিথা ট্রেনে করে ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল বলে তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।