ছয় নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজশাহীর বাগমারায় পুলিশকে পেটানোয় যুবলীগের । এদের মধ্যে হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব নামে যুবলীগের এক কর্মীর কাছ থেকে একটি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। হাবিব চরমপন্থি সদস্য বলে জানা গেছে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বলেন, বাগমারায় পূজার ডিউটির জন্য রবিবার স্থানীয় আনসার সদস্যদের বাছাই চলছিল। বাছাই প্রক্রিয়ায় ৩৫৪ জনকে চূড়ান্ত করা হয়। স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোখলেসুর রহমান পূজামণ্ডপে দায়িত্ব দেয়ার জন্য বেশ কয়েকজন আনসার সদস্যর তালিকা দেন। কিন্তু বাছাই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা সে তালিকা থেকে মাত্র চারজনকে নেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যুবলীগের কর্মীরা আনসার ভিডিপির দুই কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেন। বাধা দিতে গেলে তারা বাগমারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ আলীকে মারপিট করেন। পরে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরা হলেন- যুবলীগ কর্মী হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব (৩৫), জহুরুল ইসলাম (৩৭), শফিকুল ইসলাম (৩০), মোফাজ্জল হোসেন মায়া (২৯), শাহীন আলম (২৮) ও মাসুদ রানা (২৬)। এদের মধ্যে হাবিবের কাছে অস্ত্র ও গুলি পাওয়া যায় বলে দাবি পুলিশের। হাবিব তালিকাভুক্ত চরমপন্থি সদস্য বলেও দাবি করেছেন বাগমারার ওসি নাসিম আহমেদ।
তিনি জানান, অস্ত্র উদ্ধার ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বাগমারা থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে। বাগমারা থানার এসআই আশরাফ আলী বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। মামলায় সাত জনের নাম উল্লেখ করে তাদের আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, চরমপন্থি হাবিবকে দুটি মামলাতেই গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সরকারি কাজে বাধা দান এবং পুলিশের ওপর হামলার মামলায়। গ্রেপ্তার ছয়জনকে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।