অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশের পরিচয় মিলেছে ফুলপুর থানা পুলিশের উদ্ধার করা। আজিজুর রহমান আজিজ তারাকান্দা উপজেলার পাইন্নাবর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে। আজিজ পরকীয়ার বলি বলে শুক্রবার রাতে ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহম্মেদ মোল্লা জানিয়েছেন।
২১ সেপ্টেম্বর ঢাকাটাইমসে ‘ময়মনসিংহে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদে বলা হয়, ময়মনসিংহে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ফুলপুর উপজেলার পৌরসভার দিউ মধ্যপাড়া এলাকার বাড়ির সামনে থেকে যুবকের লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে ফুলপুর পৌরসভার দিউ মধ্যপাড়া গ্রামে একই রাতে বাবুল মিয়া, আব্দুল জব্বার ও শরাফত আলী রতনের বাড়িতে সিঁধেল চুরির ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে ফুলপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাঠ ব্যবসায়ী জাকির হোসেন ও শাহেদ আলী মাস্টারের বাড়ি সামনে থেকে পুলিশ ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে থানায় এনেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহম্মেদ মোল্লা জানান, লাশের সঙ্গে দুইটি শার্ট, একটি লুঙ্গি ও একজোড়া জুতা পাওয়া গেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআইও)। এ ঘটনায় বাবুল মিয়াকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ঘটনার নেপথ্যের বর্ণনা দেন ফুলপুরের ওসি আলী আহম্মেদ মোল্লা । বলেন, গ্রেপ্তারের পর বাবুল মিয়াকে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনা আক্তারের আদালতে তোলা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি।
আজিজ আমুয়াকান্দা বাজারের গরুহাটা এলাকায় কুলসুমের মায়ের বাসায় ভাড়ায় থেকে রং মিস্ত্রীর কাজ করতেন। আনুমানিক ১০ দিন আগে তিনি আমুয়াকান্দায় দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বাবুলের শ্বশুড়বাড়ি এলাকাতেই আজিজ থাকতেন। ধারণা করা হচ্ছে, বাবুলের বউয়ের সঙ্গে আজিজের পরকীয়া ছিল। ওই রাতে যখন আজিজ বাবুলের ঘর থেকে শার্ট কাঁধে ফেলে লুঙ্গি পরতে পরতে বের হচ্ছিল ঠিক তখন বাবুল উঠানে। পরে বাবুল তাকে গলা টিপে হত্যা করে এবং কাঁধে উঠিয়ে শাহেদ আলী মাস্টারের বাড়ি সংলগ্ন স্থানে ফেলে রেখে যায়। এরপর আশপাশের দুইঘর ও তার নিজের ঘরে সিঁধ কেটে পরিকল্পিতভাবে চুরির নাটক সাজায় বাবুল।