ন্যাশনাল একাউন্টেবলিটি ব্যুরো (এনএবি) ঢাকায় অবস্থিত ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে ১৮০০ কোটি রুপি দুর্নীতির দায়ে ওই ব্যাংকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলী রাজা ও ৬ জন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এরপর তাদের জামিন আবেদন করা হয়। কিন্তু সিন্ধু হাই কোর্ট তা বাতিল করে দিয়ে তাদেরকে জেলে পাঠিয়ে দেয়। শনিবার আবার তাদেরকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০১ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ঢাকায় এই ব্যাংকটির বিভিন্ন শাখায় এই দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ আছে। এতে বাংলাদেশের ৭ জন কর্মকর্তাও জড়িত বলে অভিযোগ আছে। ডকুমেন্ট অনুযায় এর সঙ্গে জড়িত পাকিস্তানি কর্মকর্তারা হলেন ব্যাংকটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট (্ওই সময়কার জেনারেল ম্যানেজার) কিউএসএম জাহানজেব, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (তখন বাংলাদেশে জেনারেল ম্যানেজার) ফারুক আব্বাস, অতিরিক্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট (তখন চট্টগ্রাম ও গুলশান শাখার ম্যানেজার) ফারুক জুলফিকার, অতিরিক্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনাওয়ার হুসেন গোপাং। এতে জড়িত বাংলাদেশী কর্মকর্তারা হলেন মতিঝিল শাখার এসডিজিএম এএসএম মুনিরুল ইসলাম, মতিঝিল শাখার এজিএম ফেহমিদা সাঈদ সাকি, এফএজিএম/ক্রেটিড হেড কোয়াটার বাংলাদেশ সলিম উল্লাহ, মতিঝিল শাখার এজিএম গুলাম নবী, চট্টগ্রাম শাখার এজিএম/ম্যানেজার কাজী নিজামুল ইসলাম, মতিঝিল শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা প্রদীপ গায়েন ও এজিএম মাসুদ করিম খান। অভিযোগে বলা হয়েছে, বাংলাদেশী কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের সহায়তায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংকের ওই দুর্নীতি করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের শনিবার সিন্ধু হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি আহমেদ আলী এম শেখের আদালতে হাজির করার কথা। পাকিস্তানের বিভিন্ন মিডিয়ায় এসব খবর প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো রকম নিরাপত্তা জামানত ছাড়াই এসব কর্মকর্তা ব্যাংক থেকে ১৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ১৮০০ কোটি রুপির ঋণ দিয়েছেন বাংলাদেশের শাখা থেকে। এ অভিযোগের তদন্ত হয়েছে এতদিন। এতে সৈয়দ আলী রাজাকে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই ঋণ অনুমোদন করার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এনএবি’র প্রসিকিউটররা আদালতে বলেছেন, ২০০৯ সালে ন্যাশনাল ব্যাংকের অডিটে ওই অনিয়ম ধরা পড়ে। এক্ষেত্রে এই ব্যাংকের আর্থিক বিষয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করে স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান। ওই প্রসিকিউটর আদালতে বলেন, সৈয়দ আলী রাজা, জুবায়ের আহমেদ, তাহির ইয়াকুব, ইমরান ভাট, ইবরার চেত, ইমরান গণি ও বাংলাদেশী কিছু নাগরিক এই দুর্নীতিতে জড়িত। অন্যদিকে বিবাদীপক্ষের আইনজীবীরা এ অভিযোগকে বানোয়াট দাবি করেন আদালতে।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031